দুপুরের রোদটা আজ বড়ো একা,
তোমার ছায়াটাও যেন হারিয়ে গেছে কোথাও।
রাস্তার ধুলোর মতো সময় উড়ে যায়,
আর আমি একা দাঁড়িয়ে থাকি
একটা পুরোনো চায়ের কাপে জমে থাকা নিঃশ্বাসের মতো।
একদিন হঠাৎ করেই সব সহজ হয়ে গেল,
অভিমান আর অভিযোগ গলে পড়ল কাঁচের মতো।
কে ছিল, কে থাকলো না, কে ভুলে গেল—
এসব আর বুকের বাম পাশে টান দেয় না এখন।
কষ্টগুলোও আজকাল খুব ভদ্র,
চিৎকার করে না, কাঁদে না আর,
চুপচাপ সিগারেটের ধোঁয়ার মতো উড়ে যায়,
জানালার ফাঁক গলে,
একটা হারিয়ে যাওয়া অস্তিত্বের মতো।
আমি প্রতিদিন বাঁচি এক নতুন মৃত্যুতে,
জীবনের ক্লান্তি গায়ে মেখে
জেগে উঠি অচেনা সাহসে।
অতীতকে ছেড়ে দেওয়া—
এই ছিল আসল যুদ্ধ।
তবু রাতের শহরে দাঁড়িয়ে ভাবি,
“অপেক্ষা কি কখনো শেষ হয়?”
হাজারো মুখের মাঝে খুঁজি
একটা পরিচিত বিষণ্নতা।
প্রকৃতির এই নীরবতা আমাকে বলে,
মানুষ আসলে খুব দুর্বল,
প্রিয় জিনিসটাকেও ছেড়ে দেওয়ার
যে সাহস লাগে,
তা কারও চোখে থাকে না।
আমি সূর্যের ঠোঁটে চাপা পড়া সিগারেট,
আমি দাহ, আমি উষ্ণ বিষণ্নতা।
আমার ছাই ছড়িয়ে পড়ে অনন্তে—
তবু তাতে আগুনের গল্প লুকিয়ে থাকে।
মানুষই মানুষের ঔষধ—
কেউ দেয় প্রলেপ, কেউ চির-ক্ষত।
আর যারা দূরত্ব বাড়িয়ে চলে গেছে,
তাদের জন্য প্রার্থনা করি—
সুখ যেন অন্তত ওদের সঙ্গী হয়।
শেষ নয় আমি, আমি একটি ক্ষণ,
একটি মেঘ, একটি ব্যথা,
একটি বিদ্রোহ,
একটি শূন্যতা ছুঁয়ে ফেরা আত্মার স্পর্শ।
আমি নিভে যাই…
তবু আলো হয়ে থেকে যাই কারও ভিতরে।
ছায়ার কাছে কিছু কথা_মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ