বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার
দু`জনেই ঢেউয়ের ছলে খেলা করছি।
সমুদ্র পাড়ে আমি, বেলে মাটিতে
লাভ অঙ্কন করছি।


আবার ঢেউ এসে
আমার অঙ্কন করা লাভ মুছে দিয়েছে।
আমি অনেকটা বিরক্ত বোধ করছি!
তখন তুমি,
আদরে-আহলাদে বলে উঠলে আমাকে;
ঢেউ এসে লাভ মুছে,দিয়েছে তো কি হয়েছে?


আমার হৃদয়ের লিখা লাভ
তো মুছতে পারবেনা ঢেউ;
তোমার-আমার ভালোবাসার গভীরতা
জানবে না তো কেউ।


আজ বুঝতে পেরেছি,
সমুদ্রের ঢেউ আর তোমার
মাঝে কোন তফাৎ নেই!
চলে যাবে, যাও -
তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কখনো
আমি যাইনি,আজও যাবো না।


খুব তো বলেছিলে
ভালোবাসা থাকবে আমরণ।
কোন কারনেই হবে না
কখনো তার ব্যতিক্রম।


যতই আসুক জলোচ্ছ্বাস আর উত্থানপতন
রয়ে যাবে সঙ্গী হয়ে সারাটি জীবন
বট বৃক্ষের ছায়ার মতন।


তবে কেন আজ তুমি,
হয়েছো সমুদ্রের ঢেউ?
যাবেই যদি, তবে যাও চলে যাও -
আমি হবো না কখনো, দেওয়াল তোমার,
অহেতুক বলেছিলে বুঝি
নিঃশ্বাসে মিশে থাকো
তুমি হয়ে এক অদ্ভুত শিহরণ।


ভালোবাসার হবে না
কখনো এতটুকু কিঞ্চিৎ মরণ।
আমি অন্ধ হয়ে বুঝিনি
দূরের তাঁরার ছোট্ট আলোর সমীকরণ।


তুমি তাহলে তাঁরাদের মতই কি-
আমার জীবন থেকে করেছো ফালায়ন?
এলোমেলো ভাবনায়, খুঁজে চলি তোমায়
তুমি চলে গেছো ঠিকই
তোমার স্মৃতিগুলো শুধু কাঁদায় আমায়।


কেন করেছিলে তুমি
গহীন হৃদয়ের নাটকীয় মঞ্চায়ন?
আজও পাই না খুঁজে
তার কোনো কারণ!


ঐ বেলায় এসো,
শুধু না পেলে আর
কোথাও সুখের আলিঙ্গন
আবার যদি কখনো
দেখা হয় সমুদ্র পাড়ে
গোধূলির আলোমাখা ডুবন্ত সূর্যকিরণ।


সমুদ্রের শাফেন ফেঁনায়,মিশে থাকবো আমি
কিছুটা আনমনা হয়ে ছুঁয়ে দেখো তুমি
সুখ আর তৃপ্তিতে ভরবে হৃদয়
আবার যদি ফিরে আসি
তবে তোমার আমার মিলন যেন হয়.......…!


ঐ বেলায় এসো
-মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ