আমি তোমাকে সেই মুহূর্তে দেখেছি
যখন আমি ভার্সিটিতে পড়ি।
আমি তোমাকে হাজার দরজার উঠানে দেখেছি
যখন ভাবতাম তুমি সত্যিই একা।


প্লিজ, বিশ্বাস করো;
ভালোবাসা তার নিজের যত্ন নেয়।
আমি তোমাকে ভালবেসে ছিলাম
তাই প্রতিনিয়ত তোমার যত্ন করেছি,
আমার শখ, আহলাদের ধার-ধারি ছিলাম না!
ব্যস্ত ছিলাম, তোমাকে ভালবেসে ভালো রাখার।


এখন এটি একটি ধ্বনিপূর্ণ পরিস্থিতি
যা তুমি নিজের উপর নিয়ে এসেছো।
তুমি যখন ভাবতে শুরু করবে
যে তোমার আর কেউ নেই,
তখন তোমার মনের ডানা ছড়িয়ে দিও
সূর্য আলোর মতো পাথরের পাহাড়ে-
কথা দিলাম,আমি আসবো
রংধনু হয়ে তোমার দ্বারে।


একবার আকাশের দিকে থাকাও,
দেখবে এত সুন্দর মেঘের সাজে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
এইবার তোমার সামনে
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়বো,
তাতে সব নিন্দুকেরা হাসুক
তারাই সবার আগে চলে যাবে।


বলো কে সত্যকে বিশ্বাস করার পরামর্শ দিতে পারে?
আমি যখন, আমার শরীরের রক্ত মাংসের
কলাকৌশলে ব্যাথা অনুভব করছি,
তখনো মনে হয়
তোমার অমৃতের ভালবাসার স্বাদ গ্রহণ করছি।


আচ্ছা, আমি তোমাকে সেই মুহুর্তগুলিতে দেখেছি
যখন আমি প্রেমময় যৌবন নিয়ে বেঁচে ছিলাম।
আর এখন আমি তোমাকে
হাজার দরজার উঠানে দেখছি।


ভাবছি, মানুষ এতটা অসহায় হতে পারে?
যতটা অসহায়ত্ব
মানুষকে হাজার জনতার
ভিড় থেকে একা করে দেয়!


যে মানুষ একমুঠো খাবার
আর একসেট জামা কাপড়ের জন্য
মানুষের চরণে চরণে ঘুরেফিরে!
না!
আমি বিশ্বাস করিনা! আমি বিশ্বাস করিনা!
তুমি কখনো এমন হতে পারো না;


কিন্তু কি করবো বলো?
নিজের চোখে যা দেখলাম
তা নিজের বিবেককে বোঝাতে পারছি না;
অসহায় জীবনের সহায় যিনি
তার বিধান আমি মানি,
তবুও তোমায় দিতে সম্মান
নিঃশেষ হয় যদি আমার প্রাণ।


সত্যি আমি হব ধন্য, শুধুই তোমার জন্য
শুধুই তোমার জন্য
শুধুই তোমার জন্য


অসহায়ত্ব-
কবি: মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ