যদি দেখা হয় আবার,
তোমার চোখে পড়ে থাকুক পুরনো একটা আগুনের ছায়া,
আমার নামেই করো মামলা,
শত শত ধারা নিয়ে,
তবুও যেন কোর্টের বারান্দায় একটুখানি দেখা হয়ে যায়।
যেদিন ভালোবেসেছিলে নিঃস্বার্থ,
যেদিন অপদার্থ বলে গর্জে উঠেছিল পিতৃস্বত্তা,
সেদিনই তো তোমার হাতে লিখেছিলাম সংসারের মানচিত্র,
আবার সেদিনই ছিঁড়ে ফেলেছিলে তুমি,
চোখে না দেখা এক শর্তের কাছে মাথা নত করে।
প্রথম দেখা — উত্তরের বসত ভিটেয়,
প্রথম চুমু — কিশোরগঞ্জ ফুড ক্যাম্পাসে,
তারপর সবকিছু যেন সিনেমার দৃশ্য হয়ে গেল—
বিয়ে, অপমান, এবং একটি এক কামরার স্বপ্নঘর।
ভালুকায় কাটানো দিনরাত্রির গল্প,
লুকিয়ে বলা কথা,
ভিডিও কলের নিঃশব্দ দীর্ঘশ্বাস—
তুমি আমি শুধু,
আর আশার গায়ে লেগে থাকা ধুলোর কুয়াশা।
তোমার বাবা চাইতেন,
না হোক আমাদের সংসার,
আমি চেয়েছিলাম
-হোক আমাদের ভালোবাসার ঘর,
বিনিময়ে পেলাম অপবাদ,
তুমি পেয়েছিলে বিদায়বেলা।
তারপর এক চিঠি —
নিঃশব্দে লেখা, “ডিভোর্স চাই”,
আদালতের দরজায় দাঁড়িয়ে তুমি —
আর আমি?
নিরবতাকে জবাব বানিয়ে তাকিয়ে রইলাম শুধু।
সময় গেছে কেটে,
জীবন চলে গেছে অনেক দূর,
তবুও একটা প্রার্থনা রয়ে যায় হৃদয়ের গভীরে—
যদি দেখা হয় আবার,
হোক শত মামলা, হোক দণ্ড অনন্ত,
তবুও তোমার চোখে যেন পড়ি আমি
এক ফোঁটা বিস্মৃত প্রেমের প্রতিচ্ছবি।
“যদি দেখা হয় আবার”_ মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ