কখনও ইচ্ছে করে,
জবাব দিই—তীক্ষ্ণ শব্দে, ছেঁড়া ব্যথায়,
তাদেরই মতো করে ফিরিয়ে দিই অপমান।
তবু হঠাৎ থেমে যাই,
চোখ রাখি তাদের জীবনের আয়নায়,
দেখি—কষ্টে মোড়ানো এক শূন্য অস্তিত্ব
যেখানে প্রতিদিনই হার।
তাদের গালাগাল নয়,
তাদের জীবনই দিয়েছে কঠিন শাস্তি—
মনুষ্যত্বহীন ছায়ার মতো বেঁচে থাকা,
ভালোবাসাহীন ঘরে ঘরে ফিরে আসা,
আর নিরব রাতে নিজেকে হারিয়ে ফেলা।
জীবন তো এমনই—
অনিশ্চয়তায় গাঁথা রঙহীন পথে হাঁটা,
মাঝে মাঝে রোদের হাসি,
আবার হঠাৎই নেমে আসা কালো মেঘ।
তবুও প্রতিটি মুহূর্তে—
একটি গল্প লেখা হয়,
নিজের ভিতর একান্ত ‘আমি’কে খুঁজে পাওয়া হয়।
যখন তুমি হারাবে আমাকে,
হারাবে না কোনো সম্পদ—
হারাবে একজোড়া চোখ,
যা শুধু তোমার জন্যই স্বপ্ন আঁকত আকাশে।
হারাবে ঠোঁট, যেখানেই তোমার নামেই হাসি ফোটে,
হারাবে সেই দুটি হাত—
যা নিঃশব্দে তোমার জন্যই উঠে যেত প্রার্থনায়।
মানুষ কেবল মানুষের মুখোশ ভালোবাসে,
তার গল্প, তার গৌরব, তার দাঁড়ি-কমা পূর্ণ জীবনপট।
ভালোবাসা এখন হিসাবের নাম,
যেখানে লাভ-ক্ষতির বাইরেই কিছু নেই।
যেখানে সফলতা মানেই আত্মীয়তা,
আর প্রতিষ্ঠার ছায়ায় জমে উঠা ভিড়কেই বলে— ভালোবাসা!
তাই আমি চুপ থাকি।
আমি নই কোনো গল্পের মুখ্য চরিত্র,
আমি সেই পাঠক,
যে প্রতিটি চরিত্রের অন্তঃসার বোঝে,
তাদের বেদনার পাতায় কলম ছোঁয়ায় না।
আমি জানি, কিছু যুদ্ধে নীরবতাই জয়—
আর কিছু মানুষ, হারিয়েই তারা নিজেই হারে।
মনুষ্যত্বহীন ছায়া_ মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ