আমি কখনো তার মায়ায় পড়িনি—
আমি আটকে ছিলাম তার প্রতিজ্ঞায়।
যেদিন সে শক্ত করে আমার হাত ধরেছিল,
কানে কানে বলেছিল—
"আর কখনো ছেড়ে যাবো না"
সেই শব্দগুলো আজও বুকের ভেতর কাঁপে,
প্রতিদিন, প্রতিরাত—অকথ্য এক ব্যথায় জ্বলে।
ওটা কি মায়া ছিল?
না কি মনিয়ার সাজানো এক প্রতারণা?
আমি এখনো স্পষ্ট করে বলতে পারিনি।
কারণ, মনিয়া তো আমার খুব বাধ্য ছিল—
এতটাই বাধ্য, যে তার অবাধ্যতা কল্পনারও বাইরে ছিল।
বিশ্বাসই তো ভালোবাসার মূল বন্ধন,
আমি সেই বন্ধনে নিজেকে নিঃস্ব করে জড়িয়েছিলাম।
আমি জানি, নিয়তি ভুল করে না—
ভুল করি আমি, আমার ভাবনা, আমার স্বপ্নে।
যাকে ধরে নিই নিজের—
সে-ই হয় সবচেয়ে দূরের!
ভুলটা সেখানেই—
ধরে নেওয়া, ভেবে নেওয়া,
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস।
কিন্তু, নিয়তি?
সে এক নির্লজ্জ খেলোয়াড়,
পাল্টে দেয় গল্পের চরিত্র,
ভেঙে দেয় গল্পকারের বিশ্বাস!
তবুও বলি—
আমি বেহায়া নই, ভালোবাসায় অবাধ্যও নয়।
ভালোবাসার ভাষা সৌজন্যে বাঁধা,
অশ্লীলতায় নয়, প্রতিহিংসায় নয়।
মনিয়ার প্রতি আমার প্রেমে
নেই কোনো কুৎসিত ইঙ্গিত,
নেই কোনো গ্লানির দাগ—
আছে কেবল এক অজানা মায়া।
যে মায়ায় আমি পড়েছিলাম,
আর সেই মায়ার নাম ছিল—
"মনিয়া"।
"মনিয়ার মায়া"_ মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ