একসময় ইচ্ছে জাগে
তোমার হাত ধরে
মেষপালকের বেশে ঘুরিফিরি
অরণ্য অন্ধকারে
জ্যোৎস্নার পালক ছড়াই পৃথিবীজুড়ে।


তোমার হাত তো ধরেছি
কিন্তু কে জানে?
আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে ঝরে পড়েবে
কেবলই আমার বুকের তাঁজা লাল রক্ত।


আমার হাত যদি তোমার কাছে
লোহার শিকল মনে হয়
তবে এভাবে আঁকড়ে ধরে ছিলে কেন?
কোন মোহে আমাকে চেয়েছিলে?


আচ্ছা তুমি আমাকে একটা কথা বলো;
তুমি কি স্পষ্টবাদী নও?
আমার হাতে রাখা হাত
ছেড়ে দিবে কিংবা চলে যাবে
এই কথাটুকু তো আপোষও বলতে পারো।


তোমার হাতের আঙ্গুলের সাথে
মিশে থাকা আমার আঙ্গুলগুলি
আমার আকাঙ্ক্ষাগুলি
অভিলাষগুলি ফেরত দিতে পারবে কি?


জেনেছি মানুষ তার
উর্বশীরে ভিন্ন রূপে দেখে।
যাত্রা হোক
হোক না সে নাটকীয় প্রেমের কথিকা।


নাটকীয় ভাবে সচেতন সমুদ্রের মতো
তুমি আমাকে কাছে ডেকে নিয়েছিলে
আজ তুমি চলে যাচ্ছ
আমাকে একা রেখে স্বার্থপরের ভিড়ে।


প্রতারণার ছোবলে নিহত প্রেম
আমিও ভবঘুরেদের প্রধান ছিলাম।
জোৎস্নায় ফেরা জাগুয়ারা
চাঁদ দাঁতে ফালা ফালা করেছে
আমারও প্রেমিক হৃদয়।


আমিও আমার প্রেমহীনতায়
গণিকার কাছে ক্লান্তি সঁপেছি
বাঘিনীর মুখে চুমু খেয়ে
আমি বলেছি আমাকে উদ্ধার দাও।


সক্রেটিসের হেমলক আমি
মাথার খুলিতে ঢেলে
তবে পান করেছি মৃত্যু
হে স্বা’র্থপর নারী।


আমারও অনেক স্বপ্ন শহীদ হয়েছে
তোমার প্রেম প্রতারণার ফাঁদে,
জীবনে তোমার দেওয়া অনেক
কাঁটার আঘাত সয়েছি আমিও।


হৃদয়ে লুকানো লোহার আয়নায়
ঘুরিয়ে সেখানে নিজেকে দেখেছি
পাণ্ডুর খুবই নিঃস্ব একাকী।


আমার পায়ের সমান পৃথিবী
কোথাও পাই নি অভিমানে আমি
অভিমানে তাই
চক্ষু উপড়ে চড়ুইয়ের মতো
মানুষের পাশে ঝরিয়েছি সাদা শুভ্র পালক।


জীর্ণ শীর্ণব্যার্থচিবুক
বিষণ্ণলাল রক্ত
ঝরে আমার বুকের পদতলে।


একলা শিরদাঁড়ায়, দাঁড়িয়ে থাকি
আমার ব্যর্থ প্রেমের শহরে।
চামেলি হাতে ব্যর্থ মানুষ আমি।


আমি পকেটে দুর্ভিক্ষ নিয়ে একা, একা
অভাবের রক্তের রাস্তায় ঘুরছি।
তোমরা কেউ এসো না আমার ব্যর্থ শহরে।


হে স্বার্থপর নারী
-মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ