নিরব নিস্তব্ধ রাত
কারো কোন সারা-শব্দ নেই!
তবে নারী পুরুষের যৌন লীলার
শব্দ আসছে কোথাও থেকে
অদ্ভুত ধরনের এক শব্দ!
এই মহাযজ্ঞের শব্দের ধরন যেন
স্বর্গ পাখিদের কিচিরমিচির।


চারদিক গারো অন্ধকার-
অল্প অল্প হাঁসলেও
কর্ণে যেন, বুলেটের আওয়াজ!
মানুষ এভাবে মন খুলে হাসতে পারে?
তারা কি এখন মানুষ?
কোনদিন তো মানুষকে
এত সুখি হতে দেখিনি?
কেন তারা এত সুখী?
কোথায় তারা এত মনন শক্তি পায়
তারা কি আনন্দে-ডুবে যাওয়া মানুষ?


কারো ঘর থেকে আবার
অদ্ভুত কান্নার শব্দ আসছে!
তাও মধ্যবয়সী মেয়ের কন্ঠ;
তার হয়তো খুব বেশি কষ্ট-
কষ্টের কান্না আমি বুঝতে পারি।


যারা অবিরত হাঁসছে
তারা হয়তো-
ভালোবাসার স্পর্শে ভাসছে!
তাদের স্পর্শে হয়তো জাদু আছে;
একে অপরের স্পর্শে সৃষ্টি হচ্ছে-
ভালোবাসার স্বর্গ স্থান
তারা হয়তো আকড়ে ধরা-
ভালোবাসার মানুষ।


যোজন স্পর্শ লীলায়-
অক্লান্ত দেহের মানুষ ৷
যে ক্লান্ত দেহে আর্তনাদ করছে‚
তার আর্তনাদ স্বচ্ছ জলের মতো।
সে হয়তো চিরকালের দুঃখী!
তার দুঃখের সঙ্গী হয়তো কেউ নেই;
তাই সে সুখের সন্ধান পায় না।


দেহের যন্ত্রণা সইতে পারলেও
মনের যন্ত্রণা বড্ড কাঁদায়;
নিশি কালো রাতে-
দেহ-অন্তরের সাথে,
করে যারা চুক্তি-
যুগল স্পর্শকাতরে
পায় তারা জনম-জনমের মুক্তি।


স্পর্শকাত
মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ