নাভীর নীচে—
ছয় ইঞ্চির নিচে নয়,
যেন ছয় সহস্রাব্দ গভীর এক গোপন গহ্বর,
যেখানে সময় থেমে আছে,
আর জন্ম নিচ্ছে প্রতিটি নতুন সময়।
সে এক সুড়ঙ্গ নয়—
প্রাচীন কোনো জ্যোতিষ গুহা,
যার গায়ে খোদাই করা অদৃশ্য মন্ত্র,
যার প্রতিটি রেখায় লেখা
সৃষ্টির প্রাথমিক কোড।
সে গহ্বর যেন মৃগনয়নী অন্ধকার,
যেখানে আলো ঢুকে আর ফিরে আসে না,
আসে শুধু কামনার প্রতিচ্ছবি—
অর্ধেক ধোঁয়া, অর্ধেক আগুন।
তারই গভীরে লুকানো—
মনু নয়, গোটা মানব সভ্যতার বীজ,
যেখান থেকে নির্গত হয়েছে
জল, রক্ত, গান, কান্না,
এবং যুদ্ধের আওয়াজ।
চাবি তার এখনো রহস্যময়,
নর চাবি, নারীর দেহলগ্ন দরজার সামনে
পড়ে থাকে বিভ্রান্ত হয়ে।
কে জানে, কোন জন্মান্তরের মুন্সী
গড়েছিল সেই তালার কাঠামো!
সেই সুড়ঙ্গে কেউ ঢোকে প্রেম নিয়ে,
কেউ কাম, কেউ কবিতা,
কেউবা নিছক নিঃস্ব হয়ে।
কিন্তু যে একবার ঢোকে,
সে আর আগের মত থাকে না—
সে বদলে যায়,
সে ভেঙে পড়ে,
সে গলে যায়,
সে সৃষ্টি করে।
এই সুড়ঙ্গ এক অলৌকিক নেশা,
যার রসে একদিন ঈশ্বরও ভুলে গিয়েছিল
নিজের সৃষ্টি-বিধান।
নাভীর নিচে সেই গোপন সুরঙ্গ—
না, তা শুধু দেহ নয়,
তা এক মহাকাব্য,
যার প্রতিটি অধ্যায়ে লুকিয়ে আছে
বিপ্লব, ভাঙন, মুক্তি আর মোহ।
তাই এই দুনিয়া এখনো নত,
অথচ আকুল,
এই সৃষ্টি এক অচিন সুড়ঙ্গেরই ছায়া।
সৃষ্টিসূত্র নারী_ মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ