আকাশের চোখে আজ এত জল কেন?
আকাশ কি খুব ব্যথায় ব্যতীত হয়েছে?
মনে হয়,এখনই চোখের সকল জল
উজাড় করে ঝরে পড়বে মাটির বুকে।


মানুষের হয়তো এর থেকে বেশি ব্যাথা হয়
তখন মানুষ কার বুকে লুটে পড়তে চায়?
আকাশের চোখের ঝরে পড়া
জলের শব্দ শুনা গেলেও
মানুষের চোখের ঝরে পড়া
জলের শব্দ শুনা যায় না!


কেননা এ ব্যাপারে আমার থেকে
বেশি কারো জানার কথা না!
তুমি চলে গেছো ঠিকই
কিন্তু তোমার দেওয়া স্মৃতিগুলো
নিয়ে যেতে পারনি কেনো?


তুমি জানো কী?
তোমার দেওয়া স্মৃতি গুলো
আমাকে কত দিন-কত রাত
নিরবে চোখের জল ঝড়িয়েছে?


আর তুমি জানবেই বা কি করে?
আমাকে জানার তো
তোমার আর প্রয়োজন নেই!
প্রয়োজন পুড়িয়ে গেলে যে
আমি নগন্য ময়লার ডাস্টবিন হয়ে যাব
তা কখনো ভাবিনি।


ভাবনার  আড়ালে যে
কত শত ভাবনা লুখিয়ে থাকে
তা আমার জানা ছিলো না!
এখন আমি বুঝতে পারছি,
তুমি বৃষ্টি দেখলে কেনো
এতো উল্লাসিত হয়ে উঠতে?


অবশ্য মেঘলা দিন
তোমার অনেক ভালো লাগে
আমার যে ভালো লাগে না
তা তো নয়!


তবে তোমার ভালো লাগা
আর আমার ভালো লাগার মধ্যে
রাত-দিনের ব্যবধান।


তোমার মনে পড়ে কী?
মেঘলা আকাশ দেখে বলেছিলে
আমরা কি আজ একটু
ঘুরে আসতে পারি না?


আমিও তোমার কথায়
রাজি হয়ে গেলাম।
যেমনটা গ্রামের প্রবাদে বলা হয়ঃ
"এমনিতেই নাচুন্না বুড়ি
আরো পড়েছে ঢোলের বাড়ি"।


চুলের খোঁপায় ফুল
গুঁজে বেরিয়ে পড়লাম।
দুজনে ঘুরতে লাগলাম
ব্যাস্ততম ঢাকা শহরে।


আজব শহর ঢাকার
সবগুলো রাস্তায় প্রায় জ্যাম।
তার পরেও অন্য রকম
মোহে মন্ত্র-মুগ্ধ হয়েছি।


ঘুরতে ঘুরতে কখন যে
রাত হয়ে গিয়েছিল
বুঝে উঠতে পারিনি!


অসাধারণ ভাবে সোডিয়াম
লাইটগুলো জ্বলে উঠলো।
আমরা মিরপুরের
কচুক্ষেত আসলাম
রাত তখন ১২ টা।


আমি মোহাম্মদ পুরের বাসায় থাকি
তুমি বললে মিরপুরে তোমার কোন
এক আত্মীয় বাসায় থাকবে।


আমি মোহাম্মদ পুরের
বাসায় রওনা হলাম।
হঠাৎ মিরপুর চৌদ্দ নম্বর মোড়ে
এসে আমার চোখ
এক যায়গায় আটকে গেলো!


এ কি!?
দেখলাম তোমার বান্ধবী শিমু
সিএনজি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
এবং এদিক ওদিক উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে।


আমি এক সাইডে
অপেক্ষা করতে লাগলাম
একটু পড়!
তুমি রিক্সাযোগে সিনেমার
হিরোর মত নামলে।


এবং তুমি ও তোমার বান্ধবী শিমু
এক সাথে সিএনজিতে উঠে পড়লে।
সেদিন আমার চক্ষুকেও বিশ্বাস কারাতে পারিনি
আজব শহরে,তোমার মত আজব মানুষ আছে?


সেদিন থেকে বুকের ব্যাথা
আর কমেনি
তবে চোখের জল আজো অঝোরে ঝরে,
আজো অঝোরে ঝরে
আজো অঝোরে ঝরে.......


আজব শহরে আজব মানুষ তুমি
-মোহাম্মদ শেখ কামালউদ্দিন স্মরণ