অরণ্যেতে জন্ম আমার অরণ্যতেই বাস,
তুমি আমার আশ্রয়দাতা তোমাতেই নিই শ্বাস।


তুমি ছিলে ছোট্টবেলার নিত্যদিনের সঙ্গী,
আগলে রেখো তোমার কোলে রেখো স্নেহভঙ্গী।


কত্তো প্রাণীর আশ্রয়দাতা হিসেব নেই যে তার,
তোমার মতো সর্বমাতা জুড়ি মেলা ভার।


তোমার রূপে মুগ্ধ আমি জুড়ায় আমার আঁখি,
যত্নে রাখা ক্যানভাসে মোর তোমার ছবি আঁকি।


বাওয়ালি খুঁজে তোমার মাঝে বেঁচে থাকার স্বপ্ন,
মৌয়াল সে যে তোমারই সন্তান করো তারে যত্ন।


এগিয়ে যাওয়ার সাহস যে পাই তোমাকে সবুজ দেখে,
সাহসহীনে সাহস দিও আর তোমার স্নেহ মেখে।


জগৎটাকে ঢেকে রেখো তোমার সবুজ চাদরে,
রক্ষা করো মোদের তুমি তোমার পরম আদরে।


তোমার চিহ্ন মুছতে যারা তোমায় নিত্য করে ধ্বংস,
বুমেরাং হয়ে আসবে ফিরে মুছবে তাদের বংশ।


সব অন্যায় সহ্য কর, তুমি সর্বংসহা মাতা,
তোমার উপর এ অবিচার মানবে কি কভু বিধাতা?


সভ্যতার নামে ফন্দি করে করছে যারা উজাড়,
বিধাতার শাপে তোদের একদিন হবেই হবে বিচার।


লাগেনা ভালো একটুও আমার ইট পাথরের নীড়,
প্রশান্তি আমার যেথায় করে পক্ষিকূলের ভিড়।


বেঁচে থাকার প্রেরণাটুকু তোমার মাঝে পাই,
মরণকালেও দিও মোরে তোমার বুকে ঠাঁই।


তারিখ ঃ ০৯/০৯/ ২০২০ খ্রি
কমলছড়ি, খাগড়াছড়ি।