বাদল ঝরছে মালঞ্চ হাওয়ায়
পাতার নূপুর বাজছে
হিজল বনের রূপকল্প...
এদিকে আটকে যাচ্ছে শ্বাস
সুতোনালী পরছে আয়ুষ্কাল
জীবন তো রেসের ঘোটক
খুঁটি রেখে বহুদূরে চলে যাই
কারো কারো বাড়িয়ে ধরা হাত
নীরব নির্জন
সুখ-সুখ অসুখ  
অসুখ সুখ-সুখ
স্বরচিত কাবিনের বেড়ি
কামরাঙা  নাকফুল
খুলে খুলে যায় পালকের ভেদ
অনামে স্বনামে কত ঘষামাজা
জলরঙ চিত্রকলা
পেছনে ডাকছে কার হাতের ইশারা?
ধমনী ও ফুসফুস!
এই দেশ, মহাকাল
হেঁটে আসছে স্বরচিত আলো
মাঝখানে ক্ষতচিহ্ন,
লৌহ পদাঘাত
ধমনী খুলে ফেলি  
ফুসফুস খুলে ফেলি
আর কোন ভয় নেই
তোমার হাতের তালু
আমার পূর্ণিমা
চোখ খুলে ফেলি  
হারানোর কিছু নেই
স্পর্শহীন স্পর্শ বেঁচে থাক
অনন্তকাল...
উড়ে যাচ্ছি পাতার নিঃশ্বাস,
ফুল-ফুল ভুল
শূন্যের নামতা  
কুলকুণ্ডুলিনী
খণ্ড থেকে মহাখণ্ড
খণ্ড মানে বিভক্তি
খণ্ড + খণ্ড=অর্ধাংশ
অর্ধাংশ+অর্ধাংশ= পূর্ণ
দুই ধনুকের মিলঝিল
মোচড় মারছে
সর্পদামিনী...
ছুটছি সসীম থেকে অসীমে
কেন্দ্রে ঘূর্ণায়মান পিণ্ড
কেন্দ্র থেকে পরিধি
বৃত্ত থেকে বৃত্তে মালঞ্চ হিল্লোল
ব্রম্মাণ্ড স্তরে স্তরে দৃশ্যমান
খসে ঘনপুঞ্জিভূত অপার বেদনা,
স্নায়ুক্রোধ
পূর্ণতা মানে আমি ও আমার আমিত্ব