বহুদিন মা
তোমাকে লিখিনি কোনো ডাক
পাঠাইনি যন্ত্রের আহ্বান
তবুও অবশ অলস দিনের তন্দ্রা ভেঙে ডাকো-
'এদিকে আয়', 'এদিকে আয়'!
আমি এক দিকহীন দ্বিধাময় হট্টগোলে
এলিয়ে নেতিয়ে থাকি পোড়োবাড়ির প্রাণের পোড়নে
শব্দের কব্জায় জব্দ হয়ে ডুবে থাকি আপন শয্যায়
আমি তো নাড়ির বাঁধ ভেঙে দুর্বার সময়ের রাস্তায় কবেই সমর্পিত
পাথরের পুরনো পাঁচিল ভেঙে তুলি সফেদ, সবুজ ফোয়ারা
আলোর তীর্যক বাতি ছুঁয়ে
জ্বলে গলে হয়েছি কি হয়রান?
দুর্দিন, ক্লান্তিতে কাঁটায়, খরায় জড়িয়ে
ঘাত-প্রতিঘাতে হারিয়েছি কি সত্তার মর্মমূল?
সহসা তোমার ডাক সম্বিত ফেরায় কিনা
উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম, ঈশান - বায়ু, অধঃ-ঊর্ধ্ব
কোন এক দিকের!
জানি না, জানি না...
হয়তো জানে-
ডিমের খোলসে লুকনো পূর্ণ অবয়ব
হয়তো জানে
প্রেমিকের তপ্ত বুকে শীতল জলের কলরব
ডাক ছাড়ে, হাঁক ছাড়ে
'এদিকে আয়' ,'এদিকে আয়!'
যা-ই...