আমি এক পথিক;
দিন শেষে হারিয়ে যায় আমার গন্তব্য।
অচেনা এক বাঁশিওয়ালার বাঁশির সুর আমাকে পাগল করে দেয়।
দিশেহারা ভবঘুরের ন্যায় বিচরণ করি
পাড়ি দেই মরুভূমি, সাগর, মহাসাগর,
গভীর জঙ্গলে এসে রাত নামে।
যদি একজন থাকতো যে আমার পথ বলে দিবে
আমার চলার পথে নিঃসঙ্গতা কাটাতো তার পদধ্বনি।
সুদৃঢ় আস্থার সাথে হাতটা ধরা যেতো
মনের সঞ্চিত স্বপ্ন যাকে বলতাম,
চলো এবার আমরা পাড়ি দেই আমাদের স্বপ্নগুলোর প্রাণ ফেরাতে।
নতুন করে সাজাই পৃথিবীকে
নতুন এক বাসর,
ফুলের পাপড়ি অগোছালো অবস্থায় পরে থাকবে,
ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে দিনশেষে অবসাদহীন
মুহুর্তে ফিরে আসবে চাঞ্চল্য, উৎফুল্লতা,
বসন্ত আগুন জ্বলবে বারোমাস
একেক মুহূর্তে যেখানে স্বর্গসুখ।
কতবার শরতের বিকেল নামলো নদীর ধারে
কিন্তু আমি একাই এই সৌন্দর্যের দর্শক।
যদি কেউ আসতো এই বিকেলে নদীর ধারে
জানি না কত সুন্দর লাগতো সেদিন,
কাশফুলেরা আরো চোখ কাড়তো
নদীর ঢেউ আরো তরঙ্গময়ী হতো,
পাড়ের বালুকণা রাশি মুক্তার মতো চিকচিক করতো
আনন্দে হুলুস্থুল, হেসে উঠতো চারিদিক।
অপেক্ষা আমার সেদিনের
আসবে যেদিন কেউ!
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে একটি ফুল হাতে  
যার গন্ধে এদিক-ওদিক মুখরিত
ফিরে পাবো আমার গন্তব্য
আমি আর পথ হারাবো না,
চলতে চলতে পৌঁছে যাবো আপন স্বপ্নীল নীড়ে।


তারিখঃ ২০/০৮/২০২২ইং
বিকালঃ ০৩:১১ মিনিট
নারায়নপুর, মুকসুদপুর।