দিবাকরের আগমনে এখানে প্রভাত ফিরে আসে
স্নিগ্ধ ফুলের রূপসী হাসি,
পাখিদের মধুর গুঞ্জনে,
আমার প্রতিটি দিন মুখরিত!
বিকেল গড়িয়ে গোধুলির আড়ালে সন্ধ্যা নামে।
একটা দিনের সন্ধ্যা,
কিংবা জীবনের সন্ধ্যা!
এ নিয়ে কতশত প্রাণের গল্প
লেখা হয় কবিতায় কবির কলমে।
আমরাও একটা গল্প লেখার ইচ্ছে আছে।
সেটা সুদীর্ঘ জীবনের গল্প নয়,
মাত্র আশি দিনের গল্প।
আমরা কেউ কাউকে চিনি না,
এমনকি পরিচয়ও হয় না ভার্চুয়াল জগতে।
ফেসবুকের প্রোফাইল পিক
অথবা প্রেমময় স্টাটাস
অনেককে-ই অনেকের প্রতি প্রভাবিত করে।


কিন্তু আমার ওরকম ছিল না।
দূর থেকেই দেখা, ফোনে আলাপন।
ভালোলাগার শিরোনাম ও-ই লেখা শুরু করেছে, ভালোবাসার প্রথম ধাপগুলিও!
আমি শুধু বিষাদের অধ্যায় লিখবো।
হয়তো কোনদিন ভুলে যাবো,
তাই স্মৃতিটুকু লিপিবদ্ধ করে রাখা।


জীবনের প্রথম ভালোবাসার অনুভব
কাছে আসার অধীর আগ্রহী দু'টি হৃদয়
দূরত্ব আমাদের ছুঁতে দেয়নি,
শুধু অনন্তকাল ধরে অপেক্ষা করা ছাড়া
এমন-ই কোন ব্যাবস্থাও ছিল না আমাদের  
একসাথে চোখে চোখ রাখার।
দূরত্ব যে ভালোবাসাকে গভীর করে,
সেটা তো একেবারেই বুঝিনি
ভালোবাসতে বাসতে,
কিছু স্বপ্নও বুনলাম জীবনের।
অবশেষে  বুঝলাম আমার স্বপ্নগুলো
ছিল মাকড়সার জালের মতোই।
একপ্রান্ত গড়তে গড়তে আরেকপ্রান্তে
ধ্বংসের সাথে সাক্ষাৎ।
ওর জীবনে অনেকেই জরিয়ে আছে
যেটা সন্দেহ থেকে সত্যিকার উপলব্ধি আমার।
তারপর তো অন্য কারো জীবনে চূড়ান্ত হয়েও গেল।
এ কেমন জীবন, কেমন ভালোবাসা, কেমন গল্প!
তাকে যদি প্রশ্ন করি;
সত্যিই কী আমায় ভালোবেসেছিলে কখনো,
এক মুহূর্তের জন্য হলেও-
নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।
কিন্তু না! তার উত্তর এলো,
সত্যিই তোমাকে ভালোবাসতে পারিনি!


জীবনে এমন কয়েকটি দিন আসবে
কখনো এমনটা ভাবিনি,
সুযোগও মেলেনি তাই হয়তো
নিয়তিকে দোষ দিয়েও লাভ নেই আমার।
নদী এসে কুল ভাঙ্গে, কিন্তু কূল ছেড়ে যায় না
ভাঙ্গনটা যদি এমন হতো!
ও এসেছিল অশংকোনিয়ো হয়ে।
বাতাসের মতো উড়িয়ে বিধ্বস্ত করেও যদি থেকে যেতো।
তাহলে এই গল্প লেখা হতো না
এতো জল ঝরতো না,
দুচোখ ছাপানো নদীও হতো না।
ঘৃণার দ্বীপাঞ্চল আবিষ্কৃত হতে পারতো?
কভুও হৃদয়ের সুগভীর সাগরে।


যেই হাত তাকে ছোঁয়ার প্রতিক্ষায়
প্রহর গুনে শেষ করতে পারে নি।
আজ সেই হাত প্রতিক্ষাকে ঘৃণা করে;
যেই হাতে তাকে ধরে রাখার স্বপ্ন পুষতাম
সেই হাতে অবহেলার কষ্ট মুঠো করে রাখি!


তারিখঃ ২৬/১১/২০২২ইং
দুপুরঃ ১২:৫২ মিনিট।