ভুলে গেছি যেই মানুষকে
আজ কেন হায় মনে পরে
তার ভাবনায় হৃদয় পূর্ণ
অশ্রু ঝড়ে দু'চোখ ভরে।


আজ মনে হয় রোজ নিশিতে
কল্পনাতে সেজন আসে
অনুভবের অনুরাগে
ঠিক সে আমার আশেপাশে।
কেমনে বোঝাই পাগল মনকে
অস্থির থাকে সারাক্ষণ যে,
ব্যার্থ আমি আমার মনও
আমার ভাবনা-চিন্তা সবই
এখনো সে বলতে চায় যে
তাকে ভালোবাসি খুবই।


বৃষ্টি আসলে মনে পড়ে
চাঁদনী রাতের জ্যোৎস্না ধারায়
ফুল বাগানও ফুলের গন্ধে
মন ছুটে যায় ওদের পাড়ায়।
কৃষ্ণচূড়ার রাঙা হাসি
বেলীফুলের সুবাস রাশি
মনকে বলে আয় ছুটে যাই
বাতাস বেয়ে সেইখানে আজ
যেখানে মোর প্রানের পাখি
বসন্তে খুব করতেছে সাজ।


নদীর ধারে নৌকা নিয়ে
ডাকছে মাঝি বৈঠা হাতে
আজ কেন হায় দেখি না ভাই
নদীর ধারে সন্ধ্যা রাতে।
সন্ধ্যা তাঁরা জ্বলছে ভারি
স্রোত ছুটে যায় তাড়াতাড়ি
তোমার সাথে সেই মানুষটির
খুনসুটি আর নেই কি গো ভাব?
থাকতে যারই সঙ্গে তুমি
বদলে ফেলেছো সেই স্বভাব?


ফুলওয়ালী সেই মেয়েটি আজ
ডেকে ডেকে মোরে বলে
আজকে ভাইয়া ফুল নিবেন না?
কেন যাচ্ছেন সোজা চলে?
কার জন্য আমি ফুল কিনি
চাইছি যাকে করতে রাণী
সে তো অন্যের হাতের ফুলটা
গেঁথেছে যে চুলের খোঁপায়।
অন্য কারো ভালোবাসা
আজকে তার ঐ হৃদয় কাঁপায়।


শরৎকালের সাদা কাশফুল
নদীর ধারে মেঘের মতো
সেইখানের নদীর ঢেউয়ে আজ
তারই স্মৃতি ভাসছে কতো!
কাশফুলে আজ গা ছুঁয়ে দেয়
অতীত স্মরণ কাঁদিয়ে নেয়,
আসবে না আর এ তল্লাটে
দেখবো না আর মিষ্টি হাসি  
শুনবো না আর প্রিয়র মুখে
অনেক অনেক ভালোবাসি!


খেলবো না আর গানের কলি,
চলবো না আর হাত ধরে তার
করবো না আর গল্প বলে
স্নিগ্ধ মিষ্টি দিগন্ত পার।
চাইলেও আর পাবো না আজ
হয়ে যায় অবহেলায় সাঝ
তাইতো ফিরি তার ভাবনায়
একটা সকাল বিকাল শেষে
আজকে আমায় চেপে ধরছে
বহুমুখী নানান দোষে।


হাঁটতে হাঁটতে পিছলে পড়তাম
ওই অন্ধকারের রাস্তাতে
নিজে গিয়ে ধরা দিলাম
তার কাছে খুবই সস্তাতে।
তাই বুঝি আজ অবহেলা
মনটা নিয়ে করলো খেলা
অবশেষে মনটা ভেঙে
করে দিলো আমায় খানখান
ভাঙা মনটা তার তরে আজ
তবু করে কেন আনচান?


এইতো বুঝি প্রেমের নিতি,
ঘৃণার উর্ধ্বে প্রাণের প্রীতি
পাগল মনটা বয়ে বেড়াক
আমরণ তার বিষাদ স্মৃতি!  


তারিখঃ ০৩/০৯/২০২২ইং
বিকালঃ ০৩: ১০ মিনিট।