হাসান বসরী আওলিয়াদের শীর্ষ শিরোমণি
ইলমে দ্বীনের, মারিফতের সর্ব সেরা ধনী।
হজরত ওমর নিজের হাতে করেছিলেন তাহনিক
বিশ্ব চেনে মহান ওলী বসরারই নাগরিক।


আউলিয়ারা চলতো ধরায় দ্বীনের মিশন নিয়ে
দিকে-দিকে, প্রান্তে-প্রান্তে, হক্কের দাওয়াত দিয়ে।
সামউন নামের অগ্নিপূজক তাহার সাথে দেখা
ললাট পরে ফুটেছিল তার হেদায়েতের রেখা।


হাসান বসরী দাওয়াত দিলেন এসো আঁধার হতে
কত সুন্দর জান্নাতের পথ চলে আসো এই পথে।
চলিছ যে পথ নয়তো সুপথ, ঐ পথ গিয়েছে বামে
হাত ধরে এবার এপথে চলো পৌঁছাতে আরামে।


সামউন আরো পূর্বের থেকেই চিনতো বসরী'কে
জানতো ভালো করেই হাসান কেমন ওলী সে!
জিজ্ঞাসিল সে ওগো বসরী কী লাভ আমার হবে?
আগে বলো সেই কথাটা ঈমান আনবো তবে।


হাসান বসরী ডেকে বলেন শুনে নাও আজ তুমি
দুনিয়া শেষ আখিরাত অশেষ বলে দেই আমি
যদিও দুনিয়া চোখের সামনে আখিরাত আড়াল
জেনে নিও এই পৃথিবীতে যা পুরাই মায়াজাল।


যদি ঈমান আনো দ্বীনকে মানো থাকতে এ ধরায়
ঈমানের আগুন জ্বালিয়ে দিবে পাপের সে অধ্যায়।
দান করিবেন মহান আল্লাহ সেই সুখময় জান্নাত
ধরো যদি তুমি এ জীবনে কুরআন আর সুন্নাত।


সামউন বলে ইহা মুখে মুখে বলবে কেমনে হবে
মানবো কথা লিখে দাও খাতা ঈমান আনবো তবে।
হাসান বসরী লিখে দিলেন যাহা হাদিসে বর্নিত
কালিমায় পাপ ধুয়ে দেয় হয়েছে যা পিছে গত।


সামউন সেই লিখিত কাগজ পড়িল নিজ চোখে
বললো হাসান! রাখো আমানত লেখা কাগজটাকে
কেন কাগজটা আমার কাছে আমানত দিলে ভাই?
সামউন বলে, হে হাসান আমি যদি মরে যাই।


আপনার কাছে আমার দাবী; হে মহান ওলী!
জান্নাতের এ সনদ আপনি দিয়েছেন হাতে তুলি।
এ সনদ অনুযায়ী আপনার হতে ধরিলাম ইসলাম
এই বলে চেয়ে নিবো ঐ আখেরাতের সালাম।


আপনার কাছে আরেক দাবী; যাবো যেদিন মরে
কাফন-দাফন, জানাজা দিয়ে নামাবেন কবরে।
এই সনদ টা কাজে দিবে সেই আমার মৃত্যুরদিন
নিজের হাত কবব দিয়েন আমারে সেইদিন।


যে সনদটা লিখে দিলেন, দিয়েন আমার সাথে
এটাই হয়তো কাজে দিবে আমার ঐ আখিরাতে।
এই কাগজের ওসিলাতে চাইবো সেদিন মাফ
হয়তো প্রভু পার করিবেন আখিরাতের ধাপ।


তারিখঃ ২৮/০৭/২০২২ইং
রাতঃ ০৯:৩৫ মিনিট।