রূপের পূজারী শুনে যাও তুমি
আত্মার ফযিলত
রূপেতে মজিয়া করিও না তুমি
মা'বুদের খেয়ানত।
আত্মার আলো পেতে হরদম
চেষ্টা চালিয়ে যাও
আত্মার আলো এ দেহের তরে
পালক জানিয়া নাও।


পাখির পালকে ভর করে পাখি
আকাশের বুকে উড়ে
তেমনি রূহানী শক্তি দেহকে
নিয়ে যায় বহুদূরে।
দেহের মধ্যে মৃতপ্রায় রূহ
লাগবে তা কোন কাজে
কাষ্ঠের অসি কী কাজে আসবে
থাকলে কোষের মাঝে।


কাঠের খড়গ কোষে আবদ্ধ
ততক্ষণ দাম পায়
কোষমুক্ত সে হলে বুঝে আসে
জ্বালানি কাঠ তো হায়।
ধরায় যেজন প্রভুর গোলামী
করে না গোলাম হয়ে
সে-তো থাকে হায় শুন্য হৃদয়ে
মানব খোলস লয়ে।


মানব খোলসে বাঁচিবে ধরায়
মানব জানিবে সবে
মরণ আসিয়া খোলস খুলিবে
তখন জ্বালানি হবে।
তলোয়ার যদি কাষ্ঠের হয়
যেও না যুদ্ধে নিয়ে
রণাঙ্গনের যুদ্ধের ক্ষণে
বিপদে পড়বে গিয়ে।


তোমার কাঠের তরবারি নিয়ে
থামো, আর যেও নারে
ইস্পাত দিয়ে গড়া তরবারি
রুমীর অস্ত্রাগারে।
রূহকে ধারালো তরবারি করো
রুমীর রূহের ধারে
তবে, ভয় নাই কোন ঘাঁটিতেই
নির্ভয়ে পরপারে।


মাত্রাবৃত্ত ছন্দঃ ৬+৬+৬+২
তারিখঃ ০৬/০১/২০২৩ইং
রাতঃ ০৯:১৮ মিনিট।