মাগো!
তোমার আঁচলতলে আমি আরশের ছায়া খুঁজে পাই,
জান্নাতের সুখ সেটাও!
তোমার কোলে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে নিঃশব্দে কাটিয়ে দেওয়া যায় যুগ-যুগান্তর।
কোন ক্লান্তি আসে না;
আস্থার দৃঢ় পাহাড় তুমি;
ধৈর্যের দৃষ্টান্ত এই মেদিনীতে।
শুনেছি একজন সাধারণ মানুষ পয়তাল্লিশ ডেল কষ্ট সহ্য করতে পারে,
কিন্তু তুমি আমাকে জন্ম দিতে গিয়ে সাতান্ন প্লাস ডেল কষ্ট সহ্য করেছ।
কীভাবে সম্ভব এটা!
তুমি কী তাহলে সাধারণ মানুষ নও?
এতো কষ্টের পতন হলো তোমার সবেমাত্র হুঁশ ফিরলো।
তুমি আমার প্রতি মায়াবী অশ্রুভেজা দৃষ্টি ফেললে, আমাকে দেখামাত্রই তোমার ঠোঁটের কোনে মিষ্টি হাসির ঝলকানি উঁকি দিল।
ব্যথার মলিনত্ব লুকিয়ে পড়লো তৎক্ষনাৎ,
এরপর যে অশ্রুপাত সেটা ছিল মহা আনন্দের।
শরীর থেকে তখনো রক্তপাত বন্ধ হয়নি
চোখের পাতায় পানি টলমল করছে নীল সরোবরের মতোই।
এর মাঝে আনন্দের হাসি
কতটা বিস্ময়কর তাই না?
হ্যাঁ, এটাই আমার মা পৃথিবীতে কেউ এমন পারে না।
মা'ই কেবল পারে সন্তানের জন্য এতটা কষ্ট সহ্য করতে।
স্রষ্টার অপার লীলায় মায়ের বুকে দুধের যোগান দেন,
সেই আমার দুই থেকে আড়াই বছর দুগ্ধপান করালে বিনামূল্যে।
তুমিই আমার মা!
তোমার অবদান লেখনীতে শেষ করা দুষ্কর।
তবুও লেখার প্রয়াস আমরণ।
মাগো!
তোমার মধুমাখা নামে বারবার ডাকতে ইচ্ছে করে কারণে-অকারণে;
প্রতিবারে শীতলতা বয়ে যায় আমার হৃদয়ের গহীনে।
মা, মা, মাগো!


তারিখঃ ২৮/০৭/২০২২ইং
সন্ধ্যাঃ ০৭:০০ মিনিট।