(০১)
বুকটা তোমার শান্ত, ওহে নদী
আপন মনে চলিতেছ নিরবধি।
কোথায় তোমার শেষ ঠিকানা?
চলন গতি আমার তা অজানা।
তোমার সনে মনের কী যে ভাব
বুঝি আমি তোমার কী স্বভাব!


তোমার মনে উথাল-পাথাল ঢেউ
বোঝার মতো নেই যে কাছে কেউ!
কে বলবে তোমার সাথে কথা
বুঝি আমি তোমার মনের ব্যথা।
ভীষণ দুঃখ হজম করে নাও
হাজার বেদন বুকেতে ঠাঁই দাও!


তবুও তোমার ঢেউ-তরঙ্গদল
কী রোমাঞ্চকর! কত যে চঞ্চল!
স্রোতের প্রতাপ দেখে দু-চোখে
শিহরণ জাগে প্রেমময় এ বুকে।
আঁখি মেলি ভালোবাসার ছলে
কী সোভা গো “নদীর মায়ালু কোলে”!


(০২)
চারিদিকে ঢেউ তরঙ্গ হেরি
ভয় লাগে হায়, কেমনে দিব পাড়ি
দূর থেকে ওই তরঙ্গদল আসে,
তার বুকেতে লঞ্চ-স্টিমার ভাসে!
কেউ বোঝে না কুদরত এসব কার?
নদীর বুকভরা ভাসমান পাহাড়!


অসাবধানতায় সামান্য ভূলে
হারিয়ে যায় সব নদীর অতলে।
নদী ঢেউ তরঙ্গ দেখেছি বারংবার
এ চিন্তা কী করেছি একবার?
কার ইশারা কার আধিপত্য
ঠিক নিয়মে চলে সব নিত্য।


কে সেজন জোয়ার ভাটা দানে
নদী, কভু ভাটায় কভু বা উজানে।
মহান প্রভুর করা সব নিয়ম
তাঁর নিয়মে চলে সব হরদম।
এসো, সবাই ভালোবাসি তাকে
সারাক্ষণ জীবনের বাঁকে বাঁকে।
থাকি আমি দুঃখ কিংবা সুখে
ভালোবাসা নিয়ে “পদ্মা নদীর বুকে”!


বিঃদ্রঃ কবিতা দু'টি দৌলতদিয়া থেকে আরিচা পদ্মা নদীর উপর লঞ্চে বসে লেখা
তারিখঃ ২১/০২/২০২২ইং
দুপুরঃ ০১:৫৫ মিনিট।