কবি গো তোমার         ঠোঁট দুটি লাল
             খাও যে নিত্য পান
মিষ্টি মিষ্টি                    কাব্য শুনায়
             জুড়াইয়া দাও প্রাণ।


হারিয়ে যাই গো         কবি মোরা সব
            তোমার হাসির মাঝে
স্নিগ্ধ প্রভাত            ফিরে আসে যেন
              পড়ন্ত সেই সাঁঝে।


কবি গো তোমার         কচি হাত যবে
            কাগজের পরে ছোটে
তখনই দেখি                 কত সুন্দর
            কবিতার ফুল ফোঁটে।


সাজিয়ে গুছিয়ে           উপহার দাও
            খুশি হয়ে রোজ দেখি
এতো ছোট তুমি            আপ্লুত হই
            লিখে যাও তবু একি!


কবি তুমি বলো,      কোথা হতে পাও
              এত্তো কথার ঝুলি
কোথা হতে আনো,   সাজিয়ে এ ডালা
              কাব্যের ফুল তুলি।


তোমার কবিতা            বিস্ময়ে ভরা
             উপভোগ করি রোজ
কোথায় তোমার           কাব্যের খনি
           জানিনা তো তার খোঁজ।


তোমার নানিকে      নিয়ে লিখলে যে,
           কবিতা কতক খানি
শুনি তা যতোই      ভালো লাগে খুব
          মন কাড়ে কেন জানি।


আমি বলি হায়         মজা পাও খুব?
          কবিতা শোনার ক্ষণে
কবিতা হয় তা         সুখ, দুখ, ব্যথা
         জমে থাকে যা এ মনে।


ও কবি এবার        বলো না মোদের
        কবিতা কি আছে পানে
দেখি যে তোমাকে  কতো সুর তোলো
          তোমার কাব্য গানে।


রাঙা ঠোঁট দুটি         হাসি ভরা থাক,
             থাক সদা চঞ্চল
তোমার জন্য          আলোকিত হবে
             আমাদের অঞ্চল।


তোমার জন্য        দোয়া করি মোরা
          অনেক অনেক বেশি
জানো কবি তুমি,     আমরা তোমায়
         কতোটাই ভালোবাসি।


বেশি কিছু নয়           দু'একটা পান
           খাওয়ায় দিলে চলে
তুমি বড় হও-          স্নেহ রাখি কবি,
        পাড়ার লোকে যে বলে।


মাত্রাবৃত্ত ছন্দঃ ৬+৬+৬+২
তারিখঃ ২৯/০৯/২০২২ইং
সন্ধ্যাঃ ০৭:২৮ মিনিট।