আবদার করে বললো হে কবি! আমায় কাব্য করো
তোমার লেখার ছন্দ করিয়া আমাকে তুলিয়া ধরো।
কি লিখিবো আমি জানি না তেমন নাই যে ধারণা তার
তবুও লেখার প্রয়াস যোগাবে দিলে ভালোবাসা যার।
কত অজানারে জানিয়া আমার কাব্যে দিলাম ঠাঁই
বসিয়া নিরবে শুনি সে কণ্ঠে ভালোবাসা রেখে যাই।
কেহ তো শুধাবে ফুলের মালায় পরাতে চাইবে গলে
আনন্দ নিয়ে লিখিতে থাকিব ভালোবেসে পলে পলে।
বলে কেহ কেহ ভরে যাবে গৃহ তোমার স্বপ্ন যাহা
হাসিয়া বলিবো আমরা সবাই তুমি বড় কবি আহা!
গ্রামের বুড়োরা কিশোর জোয়ান দেখে মোর তাড়াহুড়ো
ললাটে চুমিয়া আশীষ করিয়া প্রীতি করে সব জড়ো।
দেশের মানুষে আমাকে ভীষণ উৎসাহ দেয় মনে
হারিয়ে যাই যে একেক নিমিষে গভীর সাগরে বনে।
খুঁজিতে থাকি সে আমার মনের আশা-অভিলাষ যতো
আটকে থাকে তা বাঁধার দেয়ালে ভাবিয়া হৃদয় ক্ষত।


মেজো কাকা তাই প্রেরণা যোগাতে করিয়া দিয়েছে বই
বই ছাপানোর পরের থেকেই কবি ডাক শুনি ওই।
পিতা-মাতা মোর প্রথমে বিরোধ করতো তখন অতি
চিন্তা তাদের লিখলে কাব্য পড়াশোনা হয় ক্ষতি।
এখন নিষেধ করছে না আর দিচ্ছে না যেন চাপ
হয়তো তারাও মনে মনে খুশি তারা কবির মা-বাপ।
আড়ালে আড়ালে অনেকেই আছে স্নেহ রাখে খুব বেশি
দেখিলেই পথে সালাম মুসাফা মুখেতে ফুটিয়ে হাসি।
জানি না এদের কীভাবে মিটাবো এ ভালোবাসার ঋণ
যেন সবাইকে খুশি দেখি আমি এ জীবনে চিরদিন।


মাত্রাবৃত্ত ছন্দঃ ৬+৬+৬+২
তারিখঃ ২০/০৯/২০২২ইং
দুপুরঃ ১২:০৩ মিনিট।