তোমার দেহ নয়,
তোমার গাত্রে ছিলো একেকটি অলিখিত প্রতীক,
যেখানে আমি লালসা নয়,
সম্মান রেখেছিলাম— নীরব আরাধনায়।

তোমার স্তন নয়,
তা ছিলো মাতৃত্বের পবিত্র উচ্চারণ,
যেখানে হৃদয় ছুঁয়ে বলেছিলাম—
"সৌন্দর্য মানুষের সৃষ্টি— ঈশ্বর নয়, নারী নয়—
স্রষ্টার সুনিপুণ রহমত।"

তোমার উরুদ্বয় ছিলো এক অন্তঃস্থ দরজা,
যেখানে কাম নয়,
আমি দেখেছিলাম জীবনধারণের উপহার,
তোমার গোপন কুঠুরিতে প্রবেশ করিনি—
আমি নতমস্তকে রেখেছিলাম মনের একটি নীরব প্রার্থনা।

তুমি বলেছিলে—
"আমার কামনা কি কেবল শরীরের ভাষা?"
আমি বলেছিলাম—
"তা নয়,
এ এক মানবিক টান—
যা স্রষ্টার পক্ষ থেকেই,
তবে তারই সীমানায় নিয়ন্ত্রিত।"

আমরা মৈথুন করছিলাম না,
আমরা হৃদয় বিনিময় করছিলাম—
যেন পূর্বজ জন্ম থেকে আমরা জেনেছিলাম
কোনো সম্পর্ক শুধু দেহ নয়,
আত্মার নির্ভরতা।

তোমার কাঁপনে যে স্পন্দন বাজছিলো,
তা কোনো কবির লেখা নয়—
তা ছিলো হৃদয়ের মৌন কবিতা,
যেখানে নারী হয়ে ওঠে অনুভবের আয়না—
আর পুরুষ শুধুই দর্শক।

শেষে তুমি বললে—
"আমি খুলে দিয়েছি আমার সমস্ত দরজা,
তুমি কি নিজেকে খুঁজে পেয়েছো?"
আমি বলেছিলাম—
"তোমার কোমলতার মাঝে আমি পেয়ে গেছি
সৃষ্টিকর্তার করুণা,
সেই ছোঁয়াতেই জন্ম নেবে
আরেকটি কবিতা—
আরেকটি মানুষ,
স্রষ্টার দান হিসেবে।"