০১.
বন্ধুই যদি করো আমায় দোষ তাতে কী আছে?
তোমার সনে রাত যাপনে দোষ ধুয়ে যায় পাছে।
শত ক্লান্তি আনে শান্তি এই জীবন পথের বাঁকে
তোমার পরশে প্রাণ ফিরে পায় শত মৃত্যু গাছে।


০২.
বন্ধু! চিন্তা করার বিষয় আছে নিয়ে এই জীবন,
রঙিন বাগান ধুসর করে বলো কোন সেই পবন!
আলোর ছটা প্রকাশিত যা হয়ে যাবে সবই ম্লান
দেখোনা থেমে যায় জীবন রথের গতিময় চলন।


০৩.
জীবন তোমার ক্ষয়িষ্ণু পতনমুখী হরদম দেখো
চললে তুমি সত্য পথে আলোর পথে চক্ষু রাখো।
বিভ্রান্তি সামনে অনেক বুঝে-শুনে পথ আগাও
নিরাপদ মঞ্জিল পৌঁছাতে গুরু থেকে তা শেখো।


০৪.
ফুল সুন্দর মাওলাও সুন্দর কোনটা নিবো ধরে
কোন সোভাতে মস্ত্ হবো বিভোর জীবন জুড়ে?
বলো মুর্শিদ হাত ধরে মোর কোনটা নিরাপদ
চাই যে আমি পৌঁছে যেতে নির্ভয় তাঁর ক্রোড়ে।


০৫.
জীবন কোরবানি দিবো সাকীর প্রেমের খঞ্জরে
চাইবো শুধু হে পরমজন প্রাণের গহীন পিঞ্জরে!
আমি বড় দুঃখ-দুর্দশার শিকার হলাম তুমিহীন
এলে তুমি সুরের ভাজে আমার অহর্নিশ গুঞ্জরে।


০৬.
জীবনের প্রথম কবিতা প্রিয়জন তব কৃতজ্ঞতায়
কাব্য মম গড়তে থাকবো নিবিড় প্রেম-সুতায়।
জ্ঞান দানিও ভালোবাসার তোমার প্রেমের খুব
নেশায় ডুবে গাইতে থাকি ওগো সুরের মূর্ছনায়।


০৭.
যেই জগতে চলি-ফিরি পুরোই নিকাশ কালো
প্রেমের ঝলকে বসুন্ধরায় ছড়িয়ে দেয় আলো।
ডানা মেলে উড়তে থাকি সদাই উর্ধ্ব পানে
পরম পানে ছুটলে আমায় বাসেন কত ভালো।


০৮.
যতই চুমুক প্রেমের সুরায় ততই নেশা বাড়ে
টানতে থাকে সুরার পেয়ালা আমায় বারেবারে।
সাকীর হাতের ঐ তপ্ত সুরার উষ্ণ আভাদীপ্ত
বেকারার হিয়া সরাবখানায় বুদ হয়ে রয় পড়ে।


০৯.
মানুষ হয়ে জন্মেছো ভাই! মানুষ হয়েই মরো
সত্য, সঠিক, আলোর পথটা শক্ত করে ধরো।
মানুষ হতে চাই গুনের আধার মানবতার তরে
সত্যিকারের মানুষ যেমন তেমনি জীবন গড়ো।


১০.
তুমি জন্মেছো যে কেঁদে কেঁদে মরবে হাসিয়া
এই জীবন জুড়ে স্রষ্টার প্রেম থাকলে মিশিয়া।
হারাবে না হৃদয় থেকে তুমি অম্লান চিরদিন
যাও গো যদি হরদমই মানুষ ভালো বাসিয়া।