চালতা ফুলের রূপ হেরিয়া,
আঁখিদ্বয় মোর যায় জুড়িয়া
প্রতি পলকে ঝলকে তার,
আপ্লূত এই মনন আমার।
দেখিলাম যবে তারে আমি,
কি রূপেতে সৃজিল স্বামী
বিস্ময়ে ঘেরাও ঐ শরীর,
ঐঁশী অলংকারের-ই ভীড়।
মুহূর্তে মুহূর্তে হই তন্ময়,
কোন ছোঁয়ায় ও জ্যোতির্ময়?


আমি খুঁজিয়া ফিরিয়া পাই,
এই যে মোর পরম সাঁই
তাঁহার সেই রূপের ছটা,
প্রকাশিত হয়েছে খানিকটা।
সর্ব সুন্দর নন কি তিনি?
এতো রূপ-মায়া দানে যিনি
খানিকটা আলোকপাত হয়,
কতটা না লুকায়িত রয়!
দেখিনি কোনোদিন তাহা,
ভাবিনি তার একটু আহা।


আলোকোজ্জ্বল সুগন্ধময়,
দয়াময়, মায়াময়, প্রেমময়
সাজিয়েছেন ধরনী সজ্জা,
চামড়া হতে হাড়ের মজ্জা।
নিপুণ হাতের কারুকাজে,
যখন সকাল-বিকাল সাজে
প্রভাতের ঐ মিঠেল হাসি,
ঐ পূর্ণিমার আলোর শশী।
পুষ্পরা সব সুবাস ছড়িয়ে,
দেয় যে সকল হৃদয় ভরিয়ে।


যে সুগন্ধে হয় মাতাল রুমী
সে সোভার টানে কদম চুমি
চোখ খানিকটা রূপ হেরিয়া,
তাজাল্লী নূরে যায় পুড়িয়া।
দেখবে বলে মূছা(আঃ) তব,
জীবন যায় দিয়ে-ই দিবো
সরিয়ে দাও পর্দা হাজার,
সয় না আর প্রাণে আমার।
দেখবো জ্বলবো পুড়াইবো,
তবুও হৃদয় মম জুড়াইবো!


তারিখঃ ১৯/০৭/২০২২ইং
সকালঃ ১১:৩৬ মিনিট,
আলীপুর, ফরিদপুর।