একটি মিষ্টি দুপুরে তোমার আমার সাক্ষাৎ তা-ও বাস্তবে না স্বপ্নে,
হাতে হাত রেখেছিলাম ভালোবাসার অধ্যায় তখন থেকে শুরু।
একটু কাছাকাছি আসলাম প্রণয়ের অপেক্ষায় প্রতীক্ষিত দুটি হৃদয়,
তোমার সাথে অতিক্রান্ত হলো এরমধ্যেই ষাট দিন, পূর্ণ দুই মাস।
প্রকৃতির রূপের মধ্যেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, রঙের মধ্যেও,
তখন আম কাঁঠালের মৌ-মৌ গন্ধে চারিদিক মুখরিত হওয়া সবেমাত্র শুরু।
তুমি আসলে তখন গুনগুনিয়ে গান গাইতে গাইতে,
তোমার সুরের মূর্ছনায় হারিয়ে ফেললাম নিজেকে।
কখন? কীভাবে আমি নিজেও বুঝতে পারিনি;
সত্যি বলছি প্রেয়সী!
একটা আলোকিত, রোমাঞ্চকর ক্ষণ ছিল সেটা,
চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে আমার জীবনের পাতায়।
তোমার আগমন তো কৃষ্ণচূড়ার রাঙা ফুলের চাকচিক্যের চেয়েও মোহনীয় ছিল।
হাজারো তারাদের মোহরাঙ্কিত ছিল তোমার প্রতি পরতে পরতে।
তোমার বদনেও ছিল পূর্ণ শশী, আমি ছিলাম অমানিশার ঘোরে,
চিত্তে সেদিন নব অনুভূতির সুতোয় গেঁথেছিলাম একটি মালা।
আঙুলের অগ্রভাগে নকশা এঁকেছি ধুধু বালুময় প্রান্ত মরুভূমির বুকে।
এরমধ্যে অতিক্রম করেছি;
চৌদ্দশত চল্লিশ ঘন্টা, ছিয়াশি হাজার চারশত মিনিট, একান্ন লক্ষ চুরাশি হাজার সেকেন্ড!
আমরা পৌঁছে গেছি শ্রাবণে, জানো এখন চারিদিকে কত সুন্দর কদম ফুল ফুটেছে?
তোমার তো কদম ফুল অনেক ভালো লাগে তাই না? তুমি তো বলেছিলে।
কিছুদিন পরে নদীর দুপাশে সাজবে মেঘের সাজে একেবারে পেঁজা তুলোর মতো করে, কাশফুলেরা,
তুমি এসো!
সেদিন বসবো বাস্তবে তুমি আর আমি, নদীর পাড়ে চোখের পাতায় রাখবো পুরোটা বিকাল।
নীল দিগন্তে সূর্য লুকানোর অন্তিম মুহূর্তে গোধূলির আবীরে মাখামাখি হবো দুজনেই।
পাখিরা ফিরবে নীড়ে সারি সারিতে উড়ে,
আমরাও ফিরবো চন্দ্রিমা রাতের অপেক্ষায় দু’টি হাত একসাথে ধরে।


তারিখঃ ২৬/০৬/২০২২ইং
বিকালঃ ০৪:২৮ মিনিট।