আমার স্ত্রী তখন পিজি হাসপাতালে
দ্বীতিয় কন্যা এসেছে আমাদের কপালে।
ভিজিটিং আউয়ারের বাইরে কাজের ফাঁকে
ভাবলাম দেখে আসি কন্যা ও মাকে।
লিফটের কাছেই বসা ছিল দারোয়ান
দলে দলে লিফটে লোক ঢোকে সটান।


আমি যেই দাঁড়িয়ে করি ইতস্ততঃ
বসা থেকে ছুটে এসে কিছু উদ্ধত,
রুক্ষ কণ্ঠে বললো সেই দারোয়ান,
এটা ভিজিটিং সময় নয়, ফিরে যান।
যেন শুনিনি আমি, করে সেই ভান
অগত্যা শেষ মেষ দিই পিছু টান।


কিছুটা এগুতেই দেখি ছোট ভাই আসছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইদানিং পাশ সে।
কথায় কথায় আমার ঘটনাটা জানলো
তারপর অবিরাম হাসিটাকে টানলো।


বলে শেষে, ভাই আসেন আমার পিছে
কিছুতেই যেন মুখ না খোলেন মিছে।
পিছে পিছে এগুলাম লিফটার কাছে
করিডোরে তখনও দারোয়ান আছে।


হঠাত আমার ভাই করে চিতকার,
এই ভাই পথ ছাড়েন, পিছনে স্যার।
ইমারজেন্সী অপারেশন আছে পাঁচলায়,
লিফট ছাড়েন, ডঃ রহমান যায়।


সবাই পথ ছেড়ে যে যেদিকে হারালো
দারোয়ান স্যালুট দিয়ে টান টান দাঁড়ালো।
দুইজন লিফটে পাঁচতলায় এসে
দম ফেটে মরি যেন একসাথে হেসে।


এরপর যতবার গিয়েছি সে ভিজিটে
গট গট হেঁটে গেছি মুখে হেসে মিঠে।
দারোয়ান প্রতিবার উঠে উঠে দাঁড়িয়ে
ঠুকেছে স্যালুট মাথাখানা নাড়িয়ে।