তুমি যদি হইতে জ্যামিতি,
প্রমাণ তোমার দিতাম আমি বাহু এবং কোণে
অঙ্ক হলে ফলাফলে তোমায় মানতো সর্বজনে।

বস্তুমাঝে আছে নাকি লক্ষ-কোটি কণা
না দেখেও তা বিশ্বাস করে সকল মুক্তমনা।
পদার্থবিদ তড়িৎ দেখে ইলেক্ট্রোনের স্রোতে
রসায়নবিদ বিস্ফোরণ পায় তরল-মিশ্রণ হতে।
প্রাণীবিদগণ জীবের দেহে দেখে জ্যান্ত কোষ
এদের মাঝে নেই যে তুমি, এই কি তোমার দোষ?
কেন তুমি নও গো কণা, কোষ ও বিস্ফোরণে?

স্বর্ণকারে সৃষ্টি করে হাজার অলংকার
সে সব ভেঙে খুঁজলে কি আর পাবে স্বর্ণকার?
স্রষ্টা রাখে সৃষ্টি মাঝে নিপুণ হাতের দাগ
সৃষ্টি দেখে স্রষ্টাতে তাই হয় যে অনুরাগ।
বিশ্বাসীরা স্রষ্টা সৃষ্টির তফাৎ কি তা বোঝে
সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টা বোঝে, স্রষ্টা নাহি খোঁজে।
বিশ্বাসী তাই বিস্মিত হয় তোমার নিদর্শনে।

দেহ দেখি, ছুঁইতে পারি, আছে সে তাই জানি
না দেখি, না ছুঁই কভু মন - তবুও আছে মানি।
দেহের মাঝে কোথায় আছে অচেনা সেই মন
দুঃখ ব্যথা আনন্দে তার কি হয় - বুঝি কখন?
দেহবিহীন তেমনি তুমি, যায় না তোমায় দেখা
বিশ্বাসী যে সৃষ্টি মাঝেই দেখে তোমার রেখা।
তাই, মনের মতোই প্রমাণ ছাড়া রাখি তোমায় মনে।