অনাবিল সুখ শান্তি আনন্দ বিনোদনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ
সকল ভেদাভেদ ভুলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে মিলে সকল হৃদ।
সত্য-সুন্দরের জন্য ত্যাগ স্বীকার
পূণ্যের নিমিত্তে অক্লান্ত চেষ্টা সবার।  
ঈদে ত্যাগের মহিমায় চির ভাস্বর মমতা
ত্যাগ কর ভেতরের আত্মম্ভরিতা-স্বার্থপরতা।


ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি
ঈদের জামাতে ধনী-নির্ধন নির্বিশেষে মিলিমিশি।
ভেদাভেদ ভুলে ঈদগাহে এক কাতারে সমবেত হন
সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ।
ঈদে সাম্য-ভ্রাতৃত্ববোধের চমৎকার বহিঃপ্রকাশ ঘটে
সমাজের সর্বস্তরে এই সাম্য প্রতিষ্ঠা এখনো হয়নি বটে।
ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বিশ্বের নানা স্থানে
বাংলাদেশেও বিস্তর বৈষম্য শ্রেণি ব্যবধানে।


ইব্রাহিম (আ.) যখন সন্তানকে দিতে চান কুরবান
আল্লাহর নির্দেশে সন্তানের পরিবর্তে আসে পশুর ফরমান।
কুরবানি করে প্রীতি-ভালবাসার বন্ধনে হও আবদ্ধ
খোদাভক্তি-আনুগত্য-ত্যাগের পরীক্ষায় হও নিবদ্ধ।
পার্থিব ধন-দৌলত জাহির করে কুরবানি কর না
কে কত বেশি দামের পশু কুরবানি করল তা মুখ্য না।
কুরবানির তাৎপর্য বাহ্যিক আড়ম্বর প্রদর্শন নয়
আত্মত্যাগের সাধনায় তোমার হৃদয় যেন নিমগ্ন হয়।
শান-শওকাত, বিত্তবৈভবের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রদর্শনী
কুরবানির ঈদের চেতনার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কার্য কাহিনী।


বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে আমাদের ত্যাগ-সহমর্মিতা
গড়ে উঠুক ভালোবাসার আদর্শে সবার মাঝে হৃদ্যতা।
বিত্তহীনদের সাহায্য কর বিত্তবান
মানুষকে সেই মহৎ আদর্শের দিকেই করি আহ্বান।
সম্প্রীতির ঈদে চাই সকলের আত্মিক শান্তি-নিরাপত্তা
সকলের কাছে পৌঁছে যাক আনন্দ-সম্প্রীতি-সৌহার্দ্যের বার্তা।