আমরা সীমিত পরিসরে মাতৃগর্ভে থাকি।
আমাদের বাল্য বিবাহিত মায়েরা ;
অপুষ্টির পেটে নিতান্ত কষ্টে সন্তান ধারণ করে।
তারপর সীমিত পরিসরের আঁতুড়ঘরে-
গোয়ালের এক কোণে,
ভাঁড়ার ঘরের পাশে
আমরা ভূমিষ্ঠ হই।
সীমিত পরিসরে স্তন্য পান শেষ করার আগেই,
আরেকজন আবির্ভূত হয়ে সেই দুগ্ধে ভাগ বসায়।
এসেছে নতুন শিশু
তাকে ছেড়ে দিতে হয় স্থান,
পরিসর কমতে থাকে।


আমরা সীমিত পরিসরে খাই,
সীমিত পরিসরে ঘুমাই,
সীমিত পরিসরে দৌড়াই,
সীমিত পরিসরে স্কুলে–মাদ্রাসায় যাই,
সীমিত পরিসরে শিক্ষকেরা এসে-
সীমিত পরিসরে পড়ান,
সীমিত পরিসরে ঝরে যাই,
কিংবা পিএসসি পরীক্ষায়-
সীমিত পরিসরে লিখে
সীমিত পরিসরে পাসও করে যাই।
পাস করি বা না করি
কারখানায় গিয়ে সীমিত পরিসরে কাজ করি
গনগনে লোহার পাশে,
কিংবা চোখধাঁধানো আলোর নিচে ভিখারির বেশে।
ঘামে–গরমে গলে বাড়ি ফিরে-
৬ ফুট বাই ১০ ফুট ঘরে
এক সাথে থাকি ১০ জনে মেস করে।
আমার জামা ও পরিধান করে
ওর শেমিজে আমি অঙ্গাবরণ করি ঘুমের ঘরে।
অভাব-অনটনে এভাবেই নিজেকে বাঁচাই
সীমিত দেহের পরিসরখানা সংকটে সাজাই।
একদিন সীমিত পরিসরে ঝরে যাই
পৃথিবীকে বিদায় জানাই।