তিলোত্তমার দ্বিতীয় দর্শন
                              ------ মোঃ মাহাবুবুর রহমান।


তোমার গৃহে মাঝেসাঝেই আনাগোনা ছিল আমার
সেটা শুধুই তোমাকে দেখার উন্মাদনায়
একদা তোমার গৃহে নিত্য অভ্যাসে প্রবেশ করি
সেদিনের দিন-তারিখ মনে পড়ে না,
সম্ভবত সময়টা ছিল বর্ষা মৌসুমের বিকেল বেলা
তুমি বাড়িতে আসছো তা জানা ছিল না।
তোমার সামনে পড়তে সংকোচ লাগে,
যদি অবহেলা করো সেই ভয়ে।
অন্দর মহলে তোমার কন্ঠসর শুনে বুঝতে পারি
তুমি বাড়ি এসেছো!
তাৎক্ষণিক তোমাকে দেখতে মন ছটফট করে,
বসেবসে ভাবছি যদি একবার ঘরের বাইরে আসতো
শুধুই একবার!  
এক পলক দেখবো
চোখে চোখ রাখবো।
কথা না হোক তাকে কি?
দেখে মন তো শান্ত হবে?


মনে হচ্ছিল কোন এক অজ্ঞাত কারণে
তুমি আমার সামনে আসতে চাওনি
কি না কি মনে করে?
অপেক্ষার প্রহর শেষে তুমি আসলে বারান্দায়।
তোমার আগমনে এক অনাবিল আনন্দে-
আনন্দিত হয় আমার আত্মারাম।
তোমাকে দেখে আমার চোখ ছলছল করে উঠে
হৃদয়ে নেমে আসে শীতলতা।
তোমার সাথে এই প্রথম আলাপচারিতা হয়
বিশেষত পড়াশোনা আর চাকুরী নিয়ে
টুকটাক কথা হয় আমাদের।
একটু পরে দু'জনেই নীরব।
মনে হচ্ছিল কি আর বলতে পারি?
ভেবে পাচ্ছিলাম না।

অতঃপর একটা কাজের বাহানা করে
তুমি অন্দর মহলে চলে গেলে
আমি বসে আছি একা নীরবে নিভৃতে-
একা বসে শুধুই তোমার কথা অন্তহীন ভাবছি
আর মেঘালয়ের দিকে নির্বাক চেয়ে আছি।
কল্পলোকে তোমাকে পাহাড়ের চূড়ায় দেখি
আমার দিকে চেয়ে তুমি হাসছো আর
দু'হাত বাড়িয়ে ডাকছো তোমার কাছে যেতে-
তুমি প্রকৃতির মাঝে মিলেমিশে একাকার হয়ে
আমার প্রেমলীলায় উন্মাদ হয়েছো।
এভাবে কতক্ষণ কেটে যায় ঠের পাইনি,
হঠাৎ দেখি তুমি নেই
স্বপ্নটা মনে হয় ভেঙ্গে গেছে।


তারপর, দেখতে পাই-
পাহাড়ের পর পাহাড়
বাতাসের পর বাতাস
আসমানের পর আসমান,
ঝর্ণার পর ঝর্ণা
মেঘের পর মেঘ
শূণ্যতার পর শূণ্যতা।
তুমি নেই!
কেউ কোথাও নেই!
শুধু আমি আছি...
সেই মৃতপ্রায় আমি!
তোমারি নির্জন বারান্দায়,
অন্তহীন ভাবনায়......


------------------------০---------------------------
সময়ঃ ১০.৪০
তারিখঃ ২২/১১/২১
স্থানঃ আনন্দ ডিজিটাল মডেল স্কুল।