তোমার ঐ ভাঙা ক্ষোঁপা চাই গো আমি দেখতে
তোমার ঐ এলো কেশের মাঝে চাই নিজেকে লুকাতে
ফুল ফোটে আবার ঝরে, আবার ফুল ফোটে
আর সেই শতদলে ভ্রমর ভ্রমরী প্রেমের আলাপও করে
আর তার সুবাস চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে
ঠিক তেমনি আমার লক্ষ্মীর গছা ভরা চুলে আমার একটু আদরে পর্শ
তাকে লাবণ্য করে তোলে-
তোমার অঙ্গের সুগন্ধ আমাকে আরো মহিত করে
আমি নিজেকে বঞ্চতি করতে চায় না লক্ষ্মী
তোমার ছোঁয়া না নিয়ে- দিতে চায় শুধু
তোমার ক্ষোঁপায় আমার মনের পরশ ঢেলে দিতে
জীবনের খুশি দেওয়ার মত সুখ আর পৃথিবীতে নেই
তুমি যে সুখ দিয়েছো আমার প্রতিটি অঙ্গে
তাহার পরশ অনন্তকাল রইবে আমার হৃদয়ে
তোমার রূপের মাধুরী বর্ণনা করা আমার সাজে না
তবু বলি প্রিয়ে তোমার হাতের কাঁকন যখন বাজে
আমি পাগল পারা হয়ে যায়-
তোমার ক্ষোঁপা বাঁধা তার মধ্যে একটি ফুলের গাজরা প্রাণোচ্ছ্ল করে আমায়
তোমার মিষ্টি মধুর সাদা হাসি- কপালের লাল টিপ
আর দুটি কাজল চোখের মধুর দৃষ্টি আমাকে পাগল করে তোলে
তোমার ওষ্ঠের হাসির রেখা আমার জীবনের স্পন্দন জাগায়
তোমার কমলা রঙের শাড়ি তোমাকে লক্ষ্মীরূপী দেবী করে তোলে
তোমার পায়ের আলতা আমার মনকে প্রলোভিত করে
তুমি শুধু আমার প্রেয়সী নও তুমি আমার যুগ যুগান্তরের সাথী
তুমি লক্ষ্মী রূপনি জননী, সখা, বন্ধু, আমার প্রেম আমার ভালবাসা
তোমার একটু ছোঁয়া আমার পাগল মনে আনে প্রেমের বর্ষা
তোমার মুখের নিঃসৃত শব্দ আমার কর্ণকুহরে আনে সুরের মাতম
তোমার আকণ্ঠ ভালবাসায় ভরে ওঠে আমার প্রাণ
তোমার মনের আঙিনায় ফুটে উঠুক প্রেমের শতদল
তোমার প্রেমের পরষে ভিজে যাক আমাদের দুটি মন