প্রিয় বাপজান, আমার ছালাম নিও
হতভাগী মাকে তার খানিকটুকু দিও।
আদর স্নেহ দিও ছোট ভাই আর বোনকে
বুঝিয়ে রাখতে বলো ওদের অবুঝ মনকে।
এত কস্ট করেও বাবা থাকত না দুখ্
যদি একটু দেখতে পেতাম ওদের দুইখান মূখ।
চিঠিতে লেখেছ বাবা আমায় দিবে বিয়ে
কি করে চালাবে সংসার পঙ্গু দেহ নিয়ে?
বিয়ে শাদী পরে বাবা, এখন ওসব রাখো
গার্মেন্টেসের মেয়ের জন্য স্বামী সংসার নাকো।
টাকার নাকি ভীষণ দরকার? সামনের মাসে এসো
ছোট ভাই আর বোনকে একটু ভালবেসো।
ওদের লেখা পড়ার প্রতি দিও বিশেষ নজর
ঘুম থেকে উঠিয়ে দিও সময় হলে ফজর।
লেখা পড়া শিখে ওরা বড় মানুষ হবে
গাড়ী বাড়ি গড়ে তখন অনেক সুখে রবে।
আমি চাই না ওদের ভাগ্য হোক আমার মতন
তাই একটু দয়া করে নিও ওদের যতন।
চাল কুমড়ো বড়া কিছু সাথে করে এনো
হেচিঙ্গি শাক তুলে মায় দিয়ে দেয় যেন।
মা জননীর কাপুড়ে বুনা কাঁথা এনো সাথে
মায়ের স্নেহ পাইবা যদি গা জড়িয়ে তাতে।
রত্না রনির ছবি আনতে হয় না যেন ভুল
ওরাইতো মোর হৃদ বাগিচায় ফোটা কুসুম ফুল।
রাত্রি বেলায় ছবি খানি বুকের মাঝে রেখে
ঘুমিয়ে যাব আমি নতুন স্বপন দেখে।
অনেক কথাই বলার ছিল, সময় বড় কম
কাজের চাপে জীবন থেকে বের হয় বুঝি দম।।     (সাংক্ষেপিত)