পাঁচ বছরের শিশু বলে তাহার মাকে,
"রাখব আমি রোজা, ডেকে দিও রাতে।"
মা হেসে বলে, "ওরে  আমার খোকা,
রোজা রাখার বয়স হয়নি যে তোর বোকা।"
উত্তরে কয় পুতে, "ক্ষতি নেই মা তাতে,
রাখব আমি রোজা ডেকে দিও রাতে।"
মা ভেবে ছিল, হয়তো খুশির ছলে
রাখবে রোজা ভাঙবে আবার সকাল হলে।
সকাল হলে পরে মা ডেকে নেয় ঘরে
ভাত বেড়ে দেয় ছোট্ট থালে আদর সোহাগ করে।
কিন্তু তাহার ছেলে জিদ করে বলে,
"ভাত খাব আমি ইফতার সময় হলে।"
এমনি করে যখন দুপুর এলো ঘরে
বিছানাতে পড়ল শিশু গা কাঁপানো জ্বরে।
এমনি করে করে আসর হলো পার
আজরাঈল এসে কাড়া নেড়ে খুললো তাদের দ্বার।
সূর্য ডুবু ডুবু মাগরিব আযান দিবে
এমন সময় শিশুর জীবন প্রদীপ গেল নিভে।
মা কাঁদে বাবা কাঁদে, "রহিম রহমান,
এমন করে দিলে তুমি রোজার প্রতিদান?"
এমন সময় উঠান মাঝে এক মুসাফির এসে
ভিক্ষা মাঙ্গে,"দাও মা কিছু, ইফতার করি বসে।"
পুত্র হারা ব্যথা বুকে চাপা রেখে
মুসাফিরকে নেয় তারা গৃহ মাঝে ডেকে।
অসহায় মুসাফির খোদার মেহমান
হতে দিবে না তাঁর এতটুকু অসম্মান।
বুকের ব্যথা তারা বুঝতে দেয় না কেহ
পাশেই পড়ে আছে শিশু পুত্রের নিথর দেহ।
মুসাফির হেসে কহে,"সবই বুঝতে পারি,
কি কারণে তোমাদের মুখ দু'খানা ভারি!"
এই বলিয়া শিশুর মাথায় হাত রাখিল তাঁর
ডেকে কহে,"ওঠো বৎস, করিবে ইফতার।"
মৃত্যু শিশু শোয়া থেকে উঠিয়া বসিল
বাবা মায়ের সাথে ইফতার করে নিল।।
             (সুবহানাল্লাহ্)