হে আকাশ, হে বাতাস
    তুমি আমার প্রেরণার উৎস
        অনুভূতি তো অম্লান
        মনটা আমার স্বচ্ছ!
জানিনা বহরে আজ কেন এত ব্যথা
  জীবনটাকে আজ মনে হচ্ছে তুচ্ছ।


     অল্প আয়ু আর নির্ভরশীল জীবন
শোষণ,অপশাসন ও পরাধীনতায় অবগাহন
   হুকুমের গোলাম আর কষ্টে জীবন বহন
নিত্যদিনের সঙ্গী শত আঘাত হীন জখম!!


     রিক্ত হস্তে আমি আজও হতভম্ব
  তবে কী হবে না পূর্ণ সেই আশার স্তম্ভ!
  হায় রে হতভাগা!এখনো কী বিরাজমান?
সুদূর পাতাল,নভঃ,আসমান আজ সাক্ষী
   এই অন্ধকারে বসে থাকা কিছু লোক
   প্রতিনিয়ত তাহার স্বপ্নের শুভাকাঙ্ক্ষী!


   হায় রে মানব,কেন ছুটলি তোরা?
          ফাটিয়ে বুক,রেখে জীবন to বাজি
হয়েছিলি মুক্ত করে দেশ স্বাধীন
          বাঙ্গালী তবে কেন আজও পরাধীন?


        বীর বাঙ্গালী জাতি সৌখিন জাতি
            চাটুকারিতায় সেরা
                   মিথ্যা বুলিতে ভরা
            ঘোষ ব্যাবস্থায় শ্ৰেষ্ঠ
                   দুই নম্বরিতে অভ্যস্ত
            হবে না কভু পথ ভ্রষ্ট!
                   ভাবে প্রকাশ পায় কড়া
         বাংলার মানুষ কুটনীতিতে ভরা!
         জীবন গঙ্গায় আজ খাচ্ছি হাবুডুবু
      চেয়ে দেখছে সৌখিন ও স্বার্থপর ধনীরা।


   গরীবের কথা রাখি
               ওরা তলে যোচ্ছরে ভরা
    অভাবে স্বভাব নষ্ট
                 যদি পেটে থাকে ক্ষুধা!


         অন্যায়ের বিরুদ্ধে আছে গরীব
           মানবে না আজ কোন বাধা
    গরিবের প্রতিবাদ লোকে বলে বেয়াদবি
        সত্যের লড়াইয়ে আপমান সত্য
       করবে সহ্য আর কতকাল অবধি?


       ধনী-গরিব আজ সকলে হচ্ছে শিক্ষিত
   অন্যায় প্রশ্রয়ের স্থল বিদ্যালয়ের বাহিরেই নয়
            ধনীর বেয়াদবি হয়ে যায় ভুল
     এক ধমকে সমাধান, বাঁচালেন ধনির কুল!


         গরীবের দুষ্টামি যেন অসীম কিনারা
         অফিস কক্ষে যাও, ডাক অভিভাবক!
        ম্যানেজিন কমিটি উপস্থিত লাঠি শাবক
     গরীবের বিচার হবে আজ প্রস্তুত টি.সি বাবদ!


      হায় রে গরিব বাঙ্গালী!বুকে নাই তবুও ভয়
    মুখে নাই গ্লানি চোখে এখনও প্রতিবাদের চিহ্ন
          পেটে তাহার যদিও না থাকে অন্ন
      তবুও মধ্যবিত্ত করবেনা তহার সন্মান ক্ষুন্ন !
        অপমানে বুক ফাটে তবুও মুখ ফোটে না
      প্রভাবশালী তো সারাজীবন দিয়েই চলছে
       এই মধ্যবিত্ত ও গরীবের অধিকারে হানা!