প্রকৃতির উঠোনে দাঁড়ায়ে নব আগুন্তক...
প্রতিবারই আসে সে, তবুও কতোটা নূতন!
ঠিক যতোটা নূতন সদ্য দেখা ভোরের স্বপ্নেরা;
সদ্য ফোটা রঙিন কানন ফুলেরা।


প্রৌঢ়তার খোলস একদম ছেড়ে দিয়ে-
আসে ঝাঁকে ঝাঁকে আশা আর প্রাণে উচ্ছ্বাস নিয়ে।


রমেশ বাবুর হালখাতার বাতাসা,জিলিপির মিষ্টি গন্ধ
আর লস্কর পুরের মেলায় মুড়ি, মুড়কি, বিন্নী খৈ মিশে একাকার।


পুতুল নাচ আর সার্কাসের চাঞ্চল্য;
নাগরদোলার ভয় জড়ানো আনন্দ; হেসে কুটিকুটি হওয়া;
সবকিছুর মিতালী হয় অবশেষে মুগ্ধতায়।


দূর-দূরান্ত থেকে ভেসে আসা বাঁশি;
ঘুড্ডির ধনুক আর মাটির বেহালার সুর
অনায়াসে এসে মিলে যায় প্রাণের দোতরায়;
গান আর কবিতারাও আশ্রয়খুঁজে পায়,
শেকড়ের টানে ফিরে আসে আপন আঙিনায়।


আমিও ভাসি সেই সুরে-
আলতা রঙে পা ভেজাই;
ফিরে যাই-
লাল পেড়ে শাড়ি,মাটির গহনা,কাঁচের চুড়ির বাঙালীয়ানায়।


সাদা পান্তার জমিনে ভাঁজা ইলিশের পেটি
আর মরিচের সতেজ রাঙা ঝালে
সেজে ওঠে পুরনো সানকিটিও।


আনমনে আবার আমি ভীষণ বাঙালী হই।