সে ছিল এক বসন্ত পঞ্চমীর সোনাঝরা সকাল
দেখেছিলাম তাকে প্রথমবার বাসন্তীরঙা শাড়ীতে
হৃদয়ে আমার লেগেছিল প্রথম পলাশের আগুন ।

আমার হাতে সরু বাঁকা ছুরি
স্কুলের উঠোনে তার অপটু হাতের আলপনা দেখে
হাসি চাপতে না পেরে
এলোমেলো কেটে ফেলি থার্মোকল।

পুরোহিতের ঠিক পিছনেই বসেছিল সে
বন্ধ চোখ, ঠোঁটে পুস্পাঞ্জলির মন্ত্র
আচমকাই খুলে গেল একচোখ, দুষ্টু হাসি।

বুকের ভেতর আছড়ে পড়ল সুনামী
বাঙালীর ছেলে প্রেমে পড়লে হয়ে যায় নেপোলিয়ান।

ছুঁড়ে দিলাম পুস্পাঞ্জলির চিরকুট,"কী ভাবছ?"
কানের পাশে লেগে পড়ল গিয়ে তার কোলে
কিছুক্ষণ পরেই
যেন দেবীর আশীর্বাদের মত  ফিরে এল সেই  চিরকুট,
"কাল অঙ্কের স্যারের টিউশনে বিশ মিনিট আগে চলে এসো"।