দক্ষিণ দেয়ালে ছোট পেরেকে টাঙানো ক্যালেন্ডার,
২৯ ফেব্রুয়ারির চারপাশ্বে নীল কলমের সার্কেল-
৪ বছর হয়ে গেলো,
আমাদের তো একসাথে থাকার কথা।


ভালোবাসা যেদিন শরীরের চিৎকারে দাফন হয়ে যাবে-
সেদিন তোমার হিজাবের সেফটিপিনে আমায় খুঁজো,
যেই শহরের আদ্র রাত তোমার কথা মনে করিয়ে দেয়
সেই শহরের রং না করা বড়ির ৫ তলায় এক বালক-
গলার দড়ি দিয়ে সিলিংয়ের সাথে ঝুলে আছে,
ডাক্তারের রিপোর্টে মৃত্যু রহস্য, ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন।


বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখলে কার কথা করো মনে?
কার কথা ভেবে ছবি তুলে ভরে ফেলো গ্যালারি?
সেই মানুষটাকি তোমার মন ছুঁয়ে ফেলে?
নাকি! শরীরের গন্ধ নিয়েই বসন্ত বাতাসে যায় উবে?
হয়তো তুমিই তার মন ছুঁয়ে বসে আছো,
শরীর মূলত নস্যি ব্যাপার সেখানে।


জানো, এখন আর ঘাম থেকে জ্বর আসে না
প্যারাসিটামলে সেরে উঠি বিকেলে,
মাথায় ব্যাথায় উষ্ণ চুমু আর লাগে না
মিগ্রাণের একটা ট্যাবলেট অনেক শান্তি দেয়,
রাত জাগতে এখন আর তোমায় লাগে না
প্রাচীন স্মৃতি আমাকে জাগিয়ে রাখে রাতভর।
পুবের জানালা দিয়ে রোদের চোখরাঙানি আর আসে না,
ভ্যাপসা রুমে সিগারেটের জমাট গন্ধ নিয়েই
ফুসফুস পোড়া ধোঁয়া ছাড়তে পারি,
এখন আর ভালোবাসতে তোমায় লাগে না
আজ আমি দূঃখ নিয়ে একাই থাকতে পারি।