ভাইকে ডেকে রুম্পা বলে চলনা চড়কমেলা
দেখতে পাবি আঁধার হলে আতশবাজি খেলা।
না-না দিদি ওপথ দিয়ে চাই না আমি যেতে
মানুষ ধরার জন্য ওরা রাখে রে ফাঁদ পেতে।


তুই তো যাবি আমার সাথে নয় তো একা একা
দিনেরবেলা বেরোয় না রে দেয় না ওরা দেখা।
বিকেল বিকেল বেরিয়ে দুজন হাঁটছে তাড়াতাড়ি
চড়কমেলায় পৌঁছে দেখে দোকান সারি সারি।


এদিক-ওদিক ঘুরছে ওরা কিনছে এটা ওটা
নিজে খেল আধখানা চপ ভাইকে দিল গোটা।
সারা আকাশ উঠল রেঙে ফাটল আতশবাজি
মেঘবালিকার হাতে যেন পুষ্পভরা সাজি।


কী রে দিদি নামল আঁধার ফিরব কেমন করে
পা চালিয়ে চল তাহলে আমার হাতটা ধরে।
চোখের সামনে লম্বা কী এক দাঁড়িয়ে পথপাশে
আতঙ্কে ভাই জড়িয়ে ধরে অশ্রুজলে ভাসে


নাকি সুরে শুধায় ওদের খাবার কিছু আছে
দিদি বলে ঝুলির ভিতরে পাঁপরভাজা আছে।
দিদি ওটাই বাড়িয়ে দিল তখন ভুতের হাতে
ভয়ে ভীষণ কাঁপছে ওরা শিরশিরানি গা-তে।


ভূতবাবাজি পাঁপর নিয়ে উঠলো গাছের ডালে
ওরা তখন দৌড় লাগানো প্রাণপণে ফাঁকতালে।
মাকে ওরা বলল সবাই যখন ঘরে এল
পাঁপর পেতে হাসিমুখে ভূতটা চলে গেল।