বিদঘুটে
জয়শ্রী কর


করিম চাচার মাথার ব্যামো দিচ্ছিল ঘুম খাটের পরে
গোঁফচুরি আজ করল কে যে বিষম দুখে অশ্রু ঝরে।
আবোল তাবোল বকছে শুধু দেখছে ঘরে চোখ চারিয়ে
রেগেমেগে হাত-পা ছোঁড়ে, খাচ্ছে বিষম গোঁফ হারিয়ে।


কাতুকুতু বুড়োর কাছে যাবার সময় আমায় ডেকো
সুড়সুড়ি দেয় পালক দিয়ে বুড়োর থেকে তফাৎ থেকো।
দোয়েল ফিঙে শালিক টিয়া শীতেরবেলা শালের বনে
হাঁসজারু আর বকচ্ছপও জুটল গিয়ে বনভোজনে।


সন্ধ্যাবেলা শুনতে পেলাম বোম্বাগড়ের রাজার বিয়ে
তাই সকলে যাচ্ছে সেজে উপহারের প্যাকেট নিয়ে।
ডানপিটে এক বাজায় বাঁশি একলা বসে উদাস মনে
গঙ্গারামও করবে বিয়ে জুটবে কি তার ফর্সা কনে?


বিদ্যেবুদ্ধি একটুও নাই দাদু নাকি কেবল ভোগে
তাইতো আছে বৃদ্ধাশ্রমে খাচ্ছে কুরে নানান রোগে।
কাঠবুড়োটা গুড় মাখিয়ে চিবায় রোজই কাঠের গুঁড়ি
সারাটাদিন কাঠেই শোবে রাতের বেলা ওড়ায় ঘুড়ি।


ঝোপের ভিতর অন্ধকারে রামগরুড়ের ছানা থাকে
গাছে গাছে খেলে বেড়ায় মোটেও ধরা যায় না তাকে।
ওড়ার কথা বললে পরে হাসতে থাকে হা হা করে
হাসির চোটে জাগলে ব্যথা তখন কষে দুকান ধরে।


ট্যাশগরুরা জোরসে চলে ওদের সাথে ছোটা ভালো
শরীর ও মন রইবে তাজা শশীর আলোয় ঘুচবে কালো।
বিল্টু ঘুষের মেসো নাকি হাত গণনা-য় বেজায় দড়
আয়ু কত বলতে পারে প্রত্যহ তাই পাঁচশো ঝড়।