খুকুর বয়স বছর বারো মল বাজে তাঁর পায়ে
কাজলকালো চুলের গোছা ছেঁড়া কামিজ গায়ে।
বিকেল ফুরোয় সূর্য ডোবে, পাহাড়চূড়ায় বসে
আকাশপানে তাকিয়ে থাকে কখন তারা খসে।


ঘনিয়ে আসে আঁধার কালো এখন সে তো একা
হিসহিসানি শব্দ শোনে, যায় না কিছু দেখা।
একটু দূরে অন্য চূড়ায় আলোর রেখা ফোটে
সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলছে দেখে মনটা নেচে ওঠে।


ধীরে ধীরে শীর্ষ থেকে নামল পাদদেশে
বাসার দিকে এগিয়ে চলে পাহাড়-গাটি ঘেঁষে।
রাত্রিটুকু ফুরিয়ে যেতেই ওঠে আবার চূড়ে
রংবেরঙের কত পাথর সারা পাহাড়জুড়ে।


পাথর নিয়ে টিলার কোলে করছে নাড়াচাড়া
কুড়িয়ে নিয়ে ছুঁড়ছে নীচে হাসে পেলেই সাড়া।
গুনগুনিয়ে আপন-মনে গাইছে ক্ষণে ক্ষণে
খেলার সাথি পাবে কোথা, তাইতো ঘোরে বনে।


পাহাড়-চূড়ে হিমেল হাওয়া বইছে ফুরুফুরু
ওপর থেকে ঝরনাধারা নামছে ঝুরুঝুরু।
হঠাৎ কীসের শব্দ শুনে জাগলো মনে ভীতি
পাথরে কান লাগিয়ে শোনে আসছে ভেসে গীতি।


খানিক দূরে দাঁড়িয়ে বাবা নামছে তাড়াতাড়ি
হাতটি নেড়ে বলল ওকে, ফিরব এবার বাড়ি।
টিলার গায়ে হাত বুলিয়ে স্নেহ আদর করে
বুকের ভিতর জমাট ব্যথা নয়নে জল ঝরে।