আমি আজ লিখবো
তাদেরই গান;
যারা দিয়ে গেছে আমার
কলমের শানিত প্রাণ।

আমার কাব্যে রয়েছে
যাদের অবদান ;
আজ বিশ্বজুড়ে রাখিয়াছে-
অটুট তাদের উৎসর্গের মান।

আমি স্মরণ করি প্রথম
সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথের তর্জন ;
৪৮ এ গণপরিষদে
রাখিয়েছিলেন যিনি গর্জন।

লিয়াকত আলী-জিন্নাহের
গোড়ামীর চোটে ;
প্রতিবাদে তমুদ্দুন মজলিস,
ভাষা কমিটি, সংগ্রাম
পরিষদ গড়ে ওঠে।

শহীদুল্লাহ-কালাম-
কামরুদ্দিন-মুজিব-
আকরাম-মাহবুব-
ভাষানী-মনসুর;
সম্মিলিত হয়েছি আমরা
বাঁচাব বাংলা সুর।

৫২ এর ২৬ জানুয়ারি
শুনিয়া নাজিমুদ্দিনের বাণী;
২১ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার  
প্রতিবাদের ঝড় আনি।

রুহুল আমিন সরকার
ত্রাসে ১৪৪ ধারা জারি ;
ধারা ভাঙিয়া সাড়া আনিয়া
চলে মিছিল ফাঁড়ি।

উপায় না পেয়ে বুলেট
ছুড়ে পাক  দালালের দল;
বুলেটের আঘাতে করেনি
তারা কেউই মাথা তল।

মিছিলের ভীড়ে রফিকের
শিরে পড়ে হায়েনার গুলি;
ছিটকে পড়ে মাথার মগজ-
ছিটকে পড়ে খুলি।

নবপিতা জব্বার, সালাম,
বরকত, অহিউল্লা
কিশোরের  বিদায় বুলি;
২২ শে ফেব্রুয়ারী শফিউরের
কলিজায় বুলেটের গুলি।

বয়ে যায় রাজপথে
ওয়াহিদ,আউয়ালের
নিষ্পাপ রক্তের হোলি;
এমন ত্যাগী সৈনিকদের
আমরা কিভাবে ভুলি?

আরো জানা অজানা
রয়েছে হাজারো সৈনিক ;
যাদের নিকট হচ্ছি
আমরা ঋণী দৈনিক।