ইব্রাহীমের মুখে ছায়া,
চোখে যেন ভয় আর হায়া।
দিন গড়িয়ে যায় যে ভাবে,
শিশু কেনো ক্লাসে থাবে?

স্যার গেলেন বাড়ি গিয়ে,
জিজ্ঞেস করলেন ধীরে ধীরে।
উঠোনজুড়ে খেলে ছেলে,
তবু বলে, “পায়ে ব্যথে”!

কথার মাঝে দ্বিধা ভরে,
চাহনি দেখে বোঝা পড়ে—
ভয়ের ছায়া, নয়তো ব্যথা,
ভিতরজুড়ে কেবল কাঁথা।

"তুমি কি বাংলা পড়তে পারো?"
নীরব সুরে জবাব তারো—
"না গো স্যার, পারি না আমি,
তাই তো ভুলে যাই পথ থেমে।"

স্যার বললেন, “ভয় কীসের?
ভুল করলে তো হয় না ক্ষের।
এসো আমার কাছে রোজ,
শেখা হবে মনের বোঝ।”

এই যে মধুর সহমর্মিতা,
জেগে ওঠে শত সম্ভাবনা।
হৃদয় দিয়ে শিশু বোঝেন,
তবেই শিক্ষক নামটা সজেন।

ওটারচরের পাঠশালায়,
আলো ছড়ায় গভীর ব্যায়।
প্রধান যিনি, নামটি উজ্জ্বল—
আশিক ভাই, আমাদের অমল।

মায়া, যত্ন, সঠিক বোধে,
শিশুর হাতে দেয়নো ছোঁবে।
শ্রদ্ধা জানাই কুর্নিশ ভরে,
এমন মানুষ খুবই সারে।

শিক্ষার পথে জ্বালো আলো,
দেখাও কেমন হয় ভালো।
আসুক এমন সাহস ভরা,
প্রতিটি স্কুলে প্রহর ধরা।

📘 পাঠ্যোপযোগী বার্তা:
এই কবিতা শুধু একজন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ববোধ নয়, বরং একজন শিক্ষকের মানবিকতা, শিশুবান্ধবতা, এবং শিক্ষা-প্রণোদনার বাস্তব উদাহরণ।
বাংলাদেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে এমন দৃষ্টান্তমূলক কর্মপদ্ধতি ছড়িয়ে পড়ুক—এই হোক বার্তা।

--

📚 শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছার নিবেদন
প্রধান শিক্ষক মোঃ আশিকুজ্জামান স্যারের প্রতি,
ওটারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মতলব উত্তর, চাঁদপুর।