স্রোতধারী পদ্মা"
-মোঃ মাহাবুল্লাহ হাসান -


স্তব্ধ হয়ে বসে আমি একেলা,
তারি ধারে ক্ষরশ্রোতা  পদ্মা করিছে খেলা।
বেলা-অবেলা করিয়া খেলা,
প্রকৃতিময় পদ্মা জুগিয়ে মেলা।


দিনের কালে প্রভাতবেলা একটি নামে ডেকে,
ভোরের পাখি দিচ্ছে উঁকি তৃষ্ণা -তপ্ত হাঁকে।


ফিরবে কি আর ক্ষুধার জ্বলে
আধার পেলে নিথার তরে।


উজানের মাঝি গুলো নাহি ডাকে ভাই,
অবুঝ বুঝে একাই বলে তাকাই সবাই!


খুলিয়া প্রাণ দড়িয়া মন,
অশ্রু  হবে  শোভিত ক্ষন।
ছেড়া পাল ধরে হাল মাঝি যখন কূলে,
দেখি পাড়ে এসে ডাকিতে যায় ভূলে।


ধেয়ানে আমি রাখিয়া মন,
হঠাৎ ডাকিয়া করিলে অচেতন।


নির্বোধ আমি শায়িত পদ্মার ধারে,
তৃপ্ত পাই যেন শুধার তোমার গানে।
আঁচলে বাঁধিয়া শোধন করিয়া মোরে,
সংশয় নাহি করে ভূলিয়া তরে।


ওজর করিয়া ভূলিয়া লও মোরে,
নাহি একা কূলে আমি যাব মরে।
একূলেতে তুমি-আমি রইব না বেলা,
যদি লও মোরে এক পূণ্যের খেলা।


অন্তরিক্ত কালে যদি ডাক মোরে,
আমি তো অধম ভূলিয়া শুধরে নেব গঙ্গার জলে।
তরী বেয়ে রশ্মি টেনে যাব গোধূলির লগ্নে।।