কালের নিয়মের ভিন্ন ভিন্ন রূপ দেখতে অভ্যস্ত কস্তূরী,
তার নাগরদোলার উঠানামা জীবনে আজও ভালো লাগে
পূর্ণিমার নিস্তব্ধ রাতের মোহময় রূপ,
শ্রীমতীর সাথে এক হয়ে ফিরে যায়, তার শুচিস্মিতার সাদামাটা জীবনে।
আজো রবিঠাকুরের পূজারিণী তার বড্ড প্রিয়।


বিস্তীর্ণ প্রান্তরের নিঃস্তব্ধ মধ্যরাতে একাকি সে খোঁজে তার অমিতকে
ছোট্ট, উলঙ্গ উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা অমিত
কথায় হারিয়ে গেছে ঠিক তারই মত
ব্যাথাতুর মাতৃহৃদয়ের হাহাকার হারিয়ে যায় সে কোন অচিন পাখীর কান্নায়।


একই আত্মার দুটো নাম কস্তূরী ও শুচিস্মিতা
আত্মা আজো শুচিস্মিতায় পূর্ণ, কস্তূরী শুধুই আভরণ
লেবু ফুলের হৃদয় নিংড়ানো সুগন্ধ,
ভোরের শুকতারার স্ফটিক চাউনি,
ঝুমুর নদীর স্নেহের হাতছানি,
তারা তো তাকে গ্রহণ করেছে তাদের সবটুকু দিয়ে।


বিভাবসুর উদয়ের ঠিক আগে, জোছনার শেষ পরশ টুকু মেখে,
সে মিশে যায় স্নেহময়ী ঝুমুরের স্রোতস্বিনী ধারায়।
সব কিছু সাজানো ঠিক আগের মতই।