নন্দিনী তুমি হলুদ শাড়ীতে ঠিক যেন গোধূলী,
অমল কি খুঁজে পেল শেষে প্রিয় নদী শ্যামলী,
ও বাড়ীর ছাদে নিঃস্ব ছেলেটা একমুঠো রোদ্দুর,
শুকতারা জাগে ভোরের আকাশে পাখীদের চেনা সুর।


বহুদিন পরে প্রিয় অবসরে মন খোঁজে আজ যারে,
রোদ ছায়া পথ প্রিয় প্রান্তর তুমি শুধু বহুদূরে,
আজো আমি বসে স্মৃতির বাসরে সাজায়ে মনভূমি,
মেঘ হয়ে এলে বৃষ্টির সাথে চরণ তব চুমি।


মোমের আলোয় আজো কি পড় বৈষ্ণব পদাবলী?
দীঘল চোখেতে না বলা ভাষা কবির কৃষ্ণকলি।
ফুটপাতে বসে মিঠে রোদ মাখে হাজার দেবশিশু,
যন্ত্রণা ভুলে তাহাদের সাথে মিশে যান প্রভু যীশু।


নন্দিনী তুমি নীল শাড়ীতে শরতের নীলাকাশ,
নীলকণ্ঠরা আসবেই যেন উমাদের বিশ্বাস।
মনের বাগান ফুলে ফলে হোক অদেখা অরণ্য,
বলতে পারো অমিতের কে প্রিয় কেতকী না লাবণ্য?