সাপটি লকলকিয়ে তার লাল জিহ্বা দেখাচ্ছে
মুখের ভিতরে জমে থাকা বিষ ঢেলে দিতে চায়
মালতির সর্বাঙ্গে। মালতির বুকে এখন আর সেই ভয় নেই;
সে আর বিষাক্ত জিহ্বা দেখে চমকে ওঠে না
লখিন্দরের সব বিষ তার শরীরের রক্তে মিশে গেছে।
লাল রক্ত এখন পরিণত হয়েছে কাল রং-এ
মালতি ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। সমাজে জন্মে ওঠা
আরো কিছু সাপ তাদের মাথা দোলাচ্ছে, যেমন দোলায়
সাপুড়ের হাতের দোলায়। একটু আগে সে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে,
যেমন সাজা পেয়েছিল দ্রপদী। ধর্ষনের বিচার চাইতে
তাকে আর একবার ধর্ষিতা হতে হয় সমাজের মানুষগুলোর কাছে।
ধর্ষণের সমাধান হয় পাঁচ হাজার টাকায়। আর এক তরফা হয় ধর্ষনের গল্প
মালতি এখনো দেখে সেই সাপের নাচন। চোখ বন্ধ করতেই ফুষে ওঠে
পদ্ম গোখরো, চোখ খুললে আবার সেই সাপের নাচন।
মালতির চারপাশ এখন ফনা উচিয়ে সাপেরা নাচে।
নাচতে নাচতে মালতির গা বেয়ে উঠে যায়
পেঁচিয়ে ধরে মালতির কোমর, বুক, গলা তারপর
আবার ছোবল মারে।
রক্তের সঙ্গে মিশে যায় বিষ
সে বিষে তৈরি হয় একটি বিষাক্ত শিশু।