ভালোবাসা শব্দটার সাথে প্রথম যেদিন পরিচয় ঘটল,
সেদিন থেকে আমি ভালোবাসা জমাচ্ছি।
ভালোবাসা জমাচ্ছি আর জমাচ্ছিই শুধু
সাথে আরো স্বপ্নের নানা আল্পনায় আগমনী গান গাইছি।
আমি ভালোবাসা জমাচ্ছি সেই অনাগত মানুষটির জন্য,
যার মধুময় আকাঙ্খিত স্পর্শে অঝোরে সুখ বৃষ্টি নামবে
গ্রীষ্মের দাবদাহে দগ্ধ ভালবাসার কাঙ্গাল আমার হূদয়ের জমিনে।
আমি সেই অনাগত মানুষটির জন্যে ভালবাসা কুড়িয়ে জমাচ্ছি
যার গণ কালো চুলের আড়ালে মুখ লুকিয়ে,
হরিণী কালো চোখের দিকে তাকিয়ে কেটে যাবে দিন মান রাত।
যার চির ভালবাসা মাখা কণ্ঠস্বর কখনো ফিকে হবে না।
আমি সেই সে অনাগত মানুষটির জন্যে ভালবাসা কুড়াচ্ছি
যার আলতা রাঙা নুপুর পরা পা দুখানি, চিরল দাঁতের হাসি
মুগ্ধতায় ভাসাবে আমায় স্বপ্নসুখের দেশে।
যে মানুষটি তার পরিপাটি করে বাঁধা কেশগুলোর মতো করে
আমার অগোছালো জীবনটাকে গুছিয়ে দিবে
আদর ভালবাসায় জীবন মৃত্যু বুঝাবে, শেখাবে।
আমি, হে আমিই সেই মায়াবিনীর জন্যে ভালবাসা জমাচ্ছি।
সূর্যকিরণ যেমন করে দিনের জন্যে, চাঁদের আলো রাতের জন্যে
তিল তিল করে ভালবাসা জমায়, পাষণ্ড মনমুগ্ধের মতো আর
চাঁদ সূর্য রাতে দিনে যথাসময়ে নিঃস্বার্থে
জমানো ভালবাসাটুকু বিসর্জন দেয়।
আমিও ঠিক তেমন করেই ভালবাসা কুড়িয়ে কুড়িয়ে জমায়,
আমার সেই অনাগত প্রিয় মানুষটির জন্যে।
আমি সেই অনাগত মানুষটির জন্যের ভালবাসা জমাচ্ছি
যে কিনা আমাকে ভালবেসে রাঙাবে জীবন
হাসাবে ভূবন, কাঁদাবে নিঃসঙ্গ স্বরণ।


মাটি আর মাটির স্তুপ জমে জমে পাহাড় পর্বত হয়
সেই পাহাড় পর্বতমালা স্তরে স্তরে উপরে উঠে আকাশ দেখার জন্যে
চাঁদকে একান্তে আপন করে পাবে বলে
কিন্তু আকাশ, সে তো বহুদূর!
চাঁদ তারচেয়েও আরো দূর বহুদূর!
তাই মাটি তার সমস্ত স্তুপ পাহাড় পর্বত পর পর সাজিয়েও
কাঙ্খিত চাঁদ সূর্যের নাগাল পায় না!
এক সময় মনে হয় এতদিন শুধু শুধুই
স্তুপের পর স্তুপ জমিয়ে পাহাড় পর্বত গড়েছি ব্যর্থ
যত সাজিয়েছি ততই যেন আকাশ, চাঁদ সূর্য দূরে সরেছে
মাটিকে ঘৃণায় প্রত্যাখ্যান করেছে অবলীলায়
তাইতো মাঝে মাঝে নিজের অজান্তেই মনটা চিৎকার করে
জানতে চাই, এতো কষ্ট কেন জীবনে প্রেমে ভালবাসায়,
হূদয় নিংড়ানো আজন্ম লালিত ভালবাসা
তাকে দিয়ে যেতে পারবো তো!!


রচনাকালঃ-
১২.০২.২০১৬ইং
রিয়াদ, সৌদিআরব।