আমার সীমনার বিড়াল নাকি দিয়েছিল উঁকি,
তাইনা দেখে তোমার বিড়ালনী হুলোকে মোর
গোস্বা ভরে বললো ইতি উতি।    
যখন তখন উঁকি মার লোভটা কিসের শুনি?  
কিসের স্বাদে হুলোরে তোর জিবের মাথায়                      
পড়ছে খসে পানি?
আমার হুলো কালোর কালো, তাগড়া দেহখানা
বললো হেসে, এই সেরেছে, আমি কি আর
তোমার সাথে ঝগড়া করব সোনা?
আঁকু পাকু চোখগুলো মোর বেজায় শিকার খোঁজে,
তুমিই বল, থাকতে দু’চোখ সোনার মত
যায় কি রাখা বুজে?
বিড়ালনী কয়, লাগাও এবার তোমার চোখে ঠুলি
এমন ধারায় চোখ ঘোরালে  
তোমার চোখ যে নেব আমি খুলি।      
হুলো আমার কথার রাজা, বুকটা করে টান  
হেসে বলে, গোস্বা ছাড়  
চল মোরা করি এবার গান।
লাফিয়ে উঠে বিড়ালনী কয়, হুলোরে সব গেল
গৃহিনী মোর লাঠি হাতে
কাছে তেড়ে এল!
হুলো এবার আজব চোখে তাকায় অন্য দিকে
একি! তার কর্তাও যে আসছে ছুটে
বিড়াল গৃহিনীকে দেখে।
বিড়ালনী কয় কানে কানে, হুলোরে, ব্যাপারখানা কী?
হুলো বলে ফিসফিসিয়ে-
চলছে প্রেম সবার মাঝে, নেই কোন ফাঁকি।


রোম্য-১১

মোঃ মজিবুর রহমান
১৪-০৩-২০১৫ ইং।