অনেক দিন পর বৃষ্টি হল।
বৃষ্টিকে আজকাল বড় ভয় হয়।
হয়ত স্বপ্নগুলো ভিজে যাবে বলে,
অথবা বৃষ্টিগুলো বড়ই বেপরোয়ার ছলে।
আসলে, অনেক তাপ না পেলে বৃষ্টি ঝড়ে কই.?


ওদিকে রাস্তার ওপারে কালো মাতালটি চিৎকার করছে
সভ্যতাকে বাজি ধরে।
আমি ঘরে বসে স্বপ্ন বাঁচানোর ছবি আঁকি
সভ্যতাকে আঁকড়ে পরে।


এ নগরটা যেন একটা লাশকাটা ঘর।
যার একটি দেহেও হৃদয় খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মন থাকলেই সে হবে অভিমানী,
তাই তো সভ্যতায় যান্ত্রিকতা মধ্যমণি।
আমিও যান্ত্রিক হয়ে উটতে চাই।
মনহীন প্রেমহীন একটা যন্ত্রণা।
না হয় রইলই কিছুটা কবিতায়-
জানা তো ভালবাসায় কষ্ট দিবে,
স্বার্থপরতায় নিংড়ে নিবে।
তবুও কাউকে খুজে চাওয়া আঘাত সহ্যের হবার বিশ্বাসে।


প্রেম শরীরে থাকে না বুঝতে শরীর পার করে দেয় অনেকটা বছর।
মধ্যরাতে ঘুম ভাঙলে একা-
এককালে শরীর এককালে নক্ষত্র
আর এককালে আকাংক্ষিত একটি হাত।


আসলে আমরা সবাই কবি।
কিন্তু কষ্ট না পেলে কবি পংক্তি খোঁজে কই.!
হয়ত কাদম্বিনী না হলে রবি'র আলো জ্বলত না।
অথবা সুখি সুকান্তের কাব্য হত না।


আমার কবিতার শরীরটা পরে আছে লাশকাটা ঘরে।
যার হৃদয়টা উপরে খাচ্ছে ডোম।
ওদিকে রাস্তার ওপারে কালো মাতালটি চিৎকার করছে
সভ্যতাকে ঝুঁকিতে নিয়ে।
আজ অনেকদিন পর বৃষ্টি হচ্ছে।


আমার দ্বিধাগুলো এখন জিজ্ঞাসার অন্তরায়।
আমার আকাংক্ষাগুলো আতংকের অসীমতায়।
আমার পংক্তিগুলো অনন্ত অপেক্ষায়।
আমার ভাললাগা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায়।
আমার শূন্যতা সৌভাগ্যের মেনে নেয়ায়।
আমি আর আমার ভাবনা আমার হেড়ে যাওয়ায়।


আমি সত্যিই যান্ত্রিক হয়ে উটতে চাই।
মনহীন প্রেমহীন একটা যন্ত্রণা।
আমি বলতে চাই না-
যে কবি প্রেম বোঝে না তার না হয় কাব্য হতে।



-এন এস এম মঈনুল হাসান সজল
সেপ্টেম্বর, ২০২২